মিরাজ বড় মনের পরিচয় দিয়েছে: মিঠুন

ছবি: সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ মিঠুন, বিসিবি

তবে মেহেদী হাসান মিরাজের সিদ্ধান্তের কারণে সেটা হয়নি। ২০৩ রান লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চিটাগং কিংস শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে তারা হারায় হায়দার আলীর উইকেট। চট্টগ্রামের সাউথ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান টমাস ও’কনেল সেই সময়ও ব্যাটিংয়ের জন্য হয়তো তৈরি ছিলেন না। মাঠে প্রবেশ করতে তিনি বেশ সময় নেন।
ইমপ্যাক্ট নয়, কে কত রান করেছে মানুষ এটাই দেখে: অঙ্কন
১৮ ফেব্রুয়ারি ২৫
নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় নেয়ায় খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মিরাজ ও’কনেলের বিরুদ্ধে টাইমড আউটের আবেদন করেন আম্পায়ারের কাছে। আম্পায়ার বিচার বিবেচনা করে তাকে আউট ঘোষণা করেন। সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে ড্রেসিং রুমের দিকে হাঁটা ধরেন ও’কনেল। সেই সময় নিজের সিদ্ধান্ত পাল্টে ও'কনেলকে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
অবশ্য এরপর মোহাম্মদ নাওয়াজের প্রথম বলেই ফিরে যান ও'কনেল। মিড উইকেটে তার ক্যাচ নেন মিরাজ। ম্যাচ শেষে মিরাজের এমন সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন চিটাগং কিংসের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। মিরাজ অনেক বড় মনের পরিচয় দিয়েছেন বলেও দাবি তার। তবে মাঠে ঢুকতে দেরি হওয়ায় নিজ দলের ব্যাটারেরও সমালোচনা করেন মিঠুন।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে চিটাগং দলের অধিনায়ক বলেছেন, ‘আসলে মিরাজ অনেক বড় মনের পরিচয় দিয়েছে। এখানে অবশ্যই মিরাজকে কৃতিত্ব দিতে হবে। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এমন হওয়া উচিত নয়। একজন ব্যাটারের সব সময় প্রস্তুত থাকা উচিত। ও (ও’কনেল) প্রস্তুত হতে দেরি করেছে।’
এরপর মিঠুন আরও বলেন, ‘ও’কনেল হয়তো বুঝতে পারেনি এত দ্রুত উইকেট পড়বে। এ জন্য ধীরেসুস্থে প্রস্তুত হচ্ছিল। আমি মনে করি, মিরাজ দারুণ কাজ করেছে। প্রশংসা অবশ্যই ওর প্রাপ্য। আর এটা তো ক্রিকেটের নিয়ম, সময়মতো না গেলে ফিল্ডিং দল আবেদন করবেই।’
এবারের বিপিএলে চট্টগ্রামের হয়েই খেলার কথা ছিল সাকিবের। তবে বর্তমানে সাকিবের নামে বেশ কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে। সেই সঙ্গে তীব্র আন্দোলনের কারণে ঘরের মাঠে বিদায়ী টেস্টও খেলতে পারেননি তিনি। এর ফলেই চলমান বিপিএলে খেলা হচ্ছে না তার। সাকিব আদৌ বিপিএলে খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে কোনো ধারণা নেই মিঠুনের। তিনি বলেছেন, ‘সাকিব ভাইয়ের বিষয়টা টিম ম্যানেজমেন্ট বা মালিক দেখছেন। ওনার ব্যাপারে আমাদের খেলোয়াড়দের কাছে কোনো তথ্য নেই।’