বক্সিং ডে টেস্টে ৪ হাফ সেঞ্চুরিতে তিনশ পার অস্ট্রেলিয়ার

ছবি: মার্নাস ল্যাবুশেন (বামে) ও স্টিভ স্মিথ (ডানে), ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া

এ দিন শুরু থেকেই আগ্রাসী ভঙ্গিমায় ব্যাট চালাতে থাকেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার কনস্টাস এবং খাওয়াজা। তাদের দারুণ ব্যাটিংয়ে ১০ ওভারে ৪৪ রান তোলে অজিরা। ১৯ বছর বয়সী অভিষিক্ত ওপেনার কনস্টাস জসপ্রীত বুমরাহর এক ওভারে নেন ১৪ রান।
নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিতে অস্ট্রেলিয়াকে পেল ভারত
৯ ঘন্টা আগে
তবে দশম ওভারে অনেকটা ইচ্ছা করেই কনস্টাসকে কাঁধ দিয়ে ধাক্কা দেন বিরাট কোহলি। এ নিয়ে ইতোমধ্যেই সরগরম ক্রিকেট বিশ্ব। ওভার শেষ হওয়ার পর প্রান্ত বদল করছিলেন কনস্টাস। যেচে গিয়ে কনস্টাসকে কোহলি ধাক্কা দেয়ার পর দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।
আরেক ওপেনার উসমান খাওয়াজা এবং আম্পায়ারদের হস্তক্ষেপে যার যার জায়গায় ফিরে যান এই দুজন। যদিও এ নিয়ে বিতর্ক চলছেই। তবে কোহলির ধাক্কা খেয়েও দমে যাননি কনস্টাস। ৫২ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।
দলীয় ৮৯ রানে কনস্টাসকে ফিরিয়ে ওপেনিং জুটি ভাঙেন রবীন্দ্র জাদেজা। ৬৫ বলে ৬০ রান করা কনস্টাসকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন তিনি। জাদেজার টার্ন করা বল ডিফেন্স করতে গিয়ে ভুল করে ফেলেন কনস্টাস।

এরপর ল্যাবুশেনকে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন খাওয়াজা। ১০১ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনিও। হাফ সেঞ্চুরির পর তাকে ফেরান বুমরাহ। ভারতের এই পেসারের শরীর তাক করা বলে মিড অনের উপর দিয়ে মারতে গিয়েছিলেন খাওয়াজা। বল লাগে ব্যাটের একদম নীচে। মিড উইকেটে লোকেশ রাহুল সহজ ক্যাচ নেন।
ভারতের কারণে সেমি ফাইনালের আগে বিড়ম্বনায় অস্ট্রেলিয়া-সাউথ আফ্রিকা
১ মার্চ ২৫
ভাঙে ৬৫ রানের জুটি। প্রথম দুটি সেশনেই দেখা যায় অস্ট্রেলিয়ার দাপট। এরপর স্মিথের সঙ্গে ৮৩ রানের জুটি গড়েন ল্যাবুশেন। এই সিরিজে নিজের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ল্যাবুশেন। তাদের এই জুটি ভাঙেন ওয়াশিংটন সুন্দর।
তার বলে এগিয়ে গিয়ে কভারের উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন ল্যাবুশেন। মিড অফে ক্যাচ লুফে নেন কোহলি। ২৪৫ রানের মধ্যে আরও দুটি উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। বুমরাহর বলে ভাঙে ট্রাভিস হেডের স্টাম্প।
ইনফর্ম এই ব্যাটারকে এ দিন শূন্য রানে ফেরান বুমরাহ। তার দারুণ লেংথ ডেলিভারিটি বুঝতেই পারেননি হেড। এরপর ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান মিচেল মার্শও। হেডকে ফেরানোর পরের ওভারেই মার্শকে ফেরান বুমরাহ।
তার বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটরক্ষক ঋষভ পান্তকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মার্শ। ১৩ বলে চার রান আসে মার্শের ব্যাটে। পঞ্চম উইকেট পড়ার পর আবার খেলায় ফিরে অস্ট্রেলিয়া। অ্যালেক্স ক্যারির সঙ্গে ৫৩ রানের জুটি গড়েন স্মিথ।
নতুন বলে প্রথম বার বল করতে এসেই উইকেট নেন ভারতের পেসার আকাশ দিপ। তার অফ স্টাম্প তাক করা লেংথ ডেলিভারিতে খোঁচা মেরে ফিরে যান ক্যারি। ফেরার আগে ৪১ বলে ৩১ রান করেন এই উইকেটরক্ষক।
এর মধ্যে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন স্টিভ স্মিথ। আগের টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান স্মিথ এ দিন হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ৭১ বলে। ১১১ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত আছেন স্মিথ। সঙ্গী কামিন্স অপরাজিত আছেন আট রানে। ভারতের হয়ে ৭৫ রান খরচায় তিন উইকেট নেন বুমরাহ।