মাহমুদউল্লাহর হতাশায় '২০১৬', সুখস্মৃতিতে '২০১৮'

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
দীর্ঘ ১৭ বছরের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বুধবার ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টি ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে নিজের অবসরের কথা জানিয়েছেন এই ক্রিকেটার।
ভারতের বিপক্ষে সিরিজ শেষেই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে যাবেন তিনি। ক্যারিয়ার জুড়েই অনেক উত্থান পতনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। পেয়েছেন অনেক সাফল্য। অনেক ব্যর্থতাও সঙ্গী হয়েছে তার। তবে তাকে সবচেয়ে বেশি পুড়িয়েছে ২০১৬ সালে বেঙ্গালুরুতে ভারতের বিপক্ষে হার।

শেষ দিকে ৩ বলে ২ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। তখন ক্রিজে ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে দুজনেই বাউন্ডারির নেশায় উইকেট দিয়ে এসেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৩ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ হেরে যায় ১ রানে। এই হারের জন্য মাহমুদউল্লাহকেই অনেকে দায়ী করেন।
অবশ্য ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই শাপমোচন করেছিলেন এই টাইগার ব্যাটার। নিহাদাস ট্রফির ফাইনালে উঠতে বাংলাদেশের জিততেই হতো গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। শেষ পর্যন্ত এই ম্যাচের সমীকরণ গিয়ে ঠেকে ছিল ২ বলে ৬ রানে। সেখান থেকেই ছক্কা মেরে বাংলাদেশকে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ।
অবসর ঘোষণার দিন সেই দুই ম্যাচের স্মৃতিচারণ করে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, '২০১৬ সালে বেঙ্গালুরুতে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি আমার জন্য সবচেয়ে হতাশার। খুব সম্ভবত এটা আমার লাইফ চেঞ্জিং মোমেন্টও বলা যায়। এটা আমার জন্য অনেক শিক্ষণীয় ছিল। সেরা মুহূর্ত সম্ভবত নিদাহাস ট্রফি। আমরা যে ম্যাচটা জিতেছিলাম সেটা।'
অবশ্য ক্যারিয়ারে এখনও পর্যন্ত কোনো আক্ষেপ নেই বলেই জানিয়েছেন এই টাইগার ক্রিকেটার। বাংলাদেশের হয়ে খেলাকেই বড় অর্জন মনে করছেন তিনি। ২০০৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে গেছেন বলে জানালেন মাহমুদউল্লাহ।
তিনি বলেছেন, 'আমার কোনো আক্ষেপ নেই। এক ফোঁটাও আক্ষেপ নেই। বাংলাদেশের হয়ে অনেকদিন খেলা আমার জন্য ব্যক্তিগতভাবে অনেক বড় একটি বিষয়। ২০০৭ সালে আমার অভিষেক হয়েছিল ২০২৪ পর্যন্ত খেললাম, ১৭ বছর। যতটুকুই খেলেছি টি-টোয়েন্টি আমি জানি না কতটুকু ভালো করতে পেরেছি দলের জন্য। তবে আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়েছি।'