১১৮ রান তাড়ায় শেষ দিকে নামেন সূর্যকুমার। ম্যাচ শেষ করে আসার সুযোগ ছিল, কিন্তু ১১ বলে ১২ রান করে আউট হন। দুটি চার মারলেও নিজের পরিচিত শট খেলতে গিয়েই উইকেট দেন। যে শটে একসময় সহজে ছক্কা মারতেন, সেটিই এখন সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ম্যাচ শেষে অবশ্য আত্মবিশ্বাস হারাননি অধিনায়ক, 'নেটে খুব ভালো ব্যাট করছি। রান আসবেই। হ্যাঁ, এখন রান পাচ্ছি না। রানে নেই, ফর্মে আছি। আশা করছি, শীঘ্রই ফর্মে ফিরব।'
তবে পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৫ সালে পেসারদের বিরুদ্ধে ১৮ ইনিংসে তার রান মাত্র ১২২, গড় ১৪.২। আগের ম্যাচে সাউথ আফ্রিকার কাছে বড় হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোটা সহজ ছিল না।
সূর্য বলেন, 'হার থেকে শিক্ষা নেওয়া দরকার। সেটাই করেছি। খুব বেশি পরীক্ষার চেষ্টা করিনি। নিজেদের উপর ভরসা রেখেছি। তাতেই খেলা ঘুরেছে।'
এই ম্যাচে ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেয় বোলিং ইউনিট। তিন দিন আগে ২১৩ রান দেওয়া বোলাররাই এবার ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে রাখে, 'চণ্ডীগড়ে হারের পর বোলারেরা একসঙ্গে বসেছিল। কী ভুল করেছিলাম, সেটা খুঁজেছে। কটকে যেভাবে বল করেছিল, সেটাই এখানে করার চেষ্টা করেছে।'
তিন দিন পর লখনউয়ে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি। সেখানে জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত হবে ভারতের, 'সোমবারই লক্ষ্ণৌ যাচ্ছি। সেখানে গিয়ে পরের ম্যাচের পরিকল্পনা শুরু করব।'