সাকিব কানপুরে বিদায় নিতে চাইলে আয়োজন করতে রাজি ভারত

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দল এখন ভারতে। সিরিজের শেষ ম্যাচ আগামী ১২ অক্টোবর। কানপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে হুট করেই সাকিব আল হাসান টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে নিজের অবসরের কথা জানিয়েছেন।
আর টি-টোয়েন্টি খেলবেন না সেটা স্পষ্ট করলেও টেস্টে থেকে বিদায় নেয়ার ঘোষণাটি ছিল আগাম। তার ইচ্ছে ঘরের মাঠে সাউথ আফ্রিকা সিরিজ দিয়ে ক্রিকেটের এই বর্ণিল ফরম্যাটকে বিদায় জানানো। তবে বাংলাদেশে ফিরলেও সাকিবের নিরাপত্তা শঙ্কা রয়েছে।

সাকিব আদৌ সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে বাংলাদেশে আসতে পারবেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। ফলে অনেকেই কানপুরেই সাকিবের টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ দেখছেন। সাকিব কানপুরে শেষ টেস্ট খেলছেন কিনা নিশ্চিত করে জানালে আয়োজন করে বাংলাদেশের এই ক্রিকেটারকে বিদায় জানাতে চায় বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)।
সোমবার কানপুরে বাংলাদেশ ও ভারতের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন বিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা। তিনি জানিয়েছেন সাকিবের কাছ থেকে তারা আনুষ্ঠানিক বক্তব্য চান। সাকিব তাদের জানালে আয়োজন করতে কোনো ত্রুটি রাখবেন না তারা।
এ প্রসঙ্গে শুক্লা বলেন, 'সাকিব এখনও আমাদের সেভাবে জানায়নি (অবসরের ব্যাপারে)। যদি সে জানায় তাহলে অবশ্যই আমরা এই বিষয়টি (বিদায় দেয়ার) নিয়ে চিন্তা করব। আমরা ভেবেছিলাম সে বাংলাদেশে গিয়ে অবসর নেবে। কারণ তাদের পরের সিরিজটি সেখানে।'
বাংলাদেশ-ভারত সিরিজে ধারাভাষ্য দিচ্ছেন বাংলাদেশ দলের ওপেনার তামিম ইকবাল। এই বিষয়ে শুক্লার সঙ্গে তামিমেরও কথা হয়েছে। বিসিসিআইয়ের শীর্ষ এই কর্মকর্তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন সাকিব যদি সিদ্ধান্তের পরিবর্তন করেন এবং বাংলাদেশে না আসার সিদ্ধান্ত নেন তাহলে তারা পরিকল্পনা করবেন ঘটা করে সাকিবকে বিদায় জানানোর।
এ প্রসঙ্গে বিসিসিআইয়ের এই নীতি নির্ধারক বলেন, 'গতকাল তামিম ইকবালও আমাকে এটাই বলছিল। সে যদি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। এবং বাংলাদেশে না যায় তাহলে তাকে আমাদের জানাতে হবে। আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা জানলে আমরা কোনো কিছু পরিকল্পনা করতে পারব না।'