ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার টানা ১৪ জয়

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
প্রথমে নড়বড়ে অবস্থান থেকে অস্ট্রেলিয়াকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন অ্যালেক্স ক্যারি। এরপর বল হাতে নিজেদের মেলে ধরেন মিচেল স্টার্ক, অ্যারন হার্ডিরা। তাদের সামনে সেভাবে কিছুই করতে পারল না ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। ফলে ৬৮ রানের সহজ জয় পেল অস্ট্রেলিয়া। সিরিজ জেতার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল দলটি।
ভুলে ভারতের জাতীয় সংগীত বাজানোয় আইসিসির কাছে ব্যাখ্যা চায় পাকিস্তান
২৩ ফেব্রুয়ারি ২৫
লিডসে শনিবার ২৭০ রানের পুঁজি গড়ে স্বাগতিকদের ২০২ রানে গুটিয়ে দেয় সফরকারীরা। ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে গেল ২-০ ব্যবধানে। এ নিয়ে টানা ১৪ ওয়ানডে জিতল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। গত বছরের অক্টোবরে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শুরু হয় তাদের এই যাত্রা।
টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৪৬ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। ২৭ বলে ২৯ রান করে ফিরে যান ট্রাভিস হেড। ৮৯ রানের মধ্যে ম্যাথু শর্ট এবং স্টিভ স্মিথের উইকেটও হারায় অস্ট্রেলিয়া।
৩৬ বলে ২৯ রানে ফিরে যান শর্ট। ম্যাথু পটসের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে স্মিথের ব্যাটে আসে চার রান। এরপর মিচেল মার্শের সঙ্গে ৫৬ রানের জুটি গড়েন মারনাস ল্যাবুশেন। যদিও ২৮ বলে ১৯ রান করে ফিরে যান তিনিও।

এর এক ওভার পর প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মার্শও। ৫৯ বলে ৬০ রান করেন জ্যাকব বেথেলের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। তারপর ম্যাক্সওয়েল সাত রানে ফিরে গেলে ১৬১ রানের মধ্যে ছয় উইকেট হারায় বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
প্রথম ম্যাচ থেকেই জিততে চেয়েছিলেন ইংলিস-স্মিথরা
২৩ ফেব্রুয়ারি ২৫
সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন ক্যারি। তারপর ৫৫ রানের জুটি গড়েন হার্ডি এবং ক্যারি। ৬৭ বলে ৭৪ রান করে ৪৪.৪ ওভারে শেষ উইকেট হিসেবে বিদায় নেন ক্যারি। হার্ডি করেন ২৩ রান। ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে ৭৫ রান খরচায় তিন উইকেট নেন ব্রাইডন কার্স। দুটি করে উইকেট নেন পটস, আদিল রশিদ এবং বেথেল।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আসা যাওয়ার মধ্যে ব্যস্ত থাকে ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সম্মিলিত আক্রমণের সামনে দিশেহারা হতে থাকে দলটি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৯ রান আসে জেমি স্মিথের ব্যাটে।
এ ছাড়া বেন ডাকেট ২, আদিল ২৭, কার্স ২৬ এবং বেথেল ২৫ রান করেন। লেজের সারির কয়েকজনের সৌজন্যে কোনোভাবে দুইশ পার করে দলটি। তবে ম্যাচে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি ইংল্যান্ড।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। এ ছাড়া জস হ্যাজেলউড, হার্ডি এবং ম্যাক্সওয়েল দুটি করে উইকেট নেন।