বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ • মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম
জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ, অপেক্ষায় রাখল আয়ারল্যান্ড
ঢাকা টেস্টের নাটাই যেন শুরু থেকেই বাংলাদেশের হাতে। সিলেটের পর মিরপুর টেস্টেও শুরু থেকে নিজেদের দাপট অব্যাহত রেখেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আইরিশদের পাহাড়সম লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে চতুর্থ দিন শেষে তাদের ছয় উইকেট তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা। শেষদিন হোয়াইটওয়াশ এড়াতে আইরিশদের জয়ের জন্য প্রয়োজন আরও ৩৩৩ রান। বাংলাদেশের দরকার চার উইকেট। ৫০৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে করেছে ছয় উইকেটে ১৭৬ রান।
শেষ বিকেলে তাইজুলের আরেকটি উইকেট
শেষ বিকেলে তাইজুলের বলে এলবিডব্লিউ হন স্টিভেন ডোহেনি। ৫২ বলে ১৫ রানে ফিরে যান তিনি।
জুটি ভাঙলেন মুরাদ, ফিরলেন টেক্টর
৫০ রান করা টেক্টরকে ফেরালেন হাসান মুরাদ। ৭৭ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর আয়ারল্যান্ডের হাল ধরেন হ্যারি টেক্টর ও কার্টিস ক্যাম্ফার। তারা চতুর্থ উইকেটে যোগ করেন ৮৫ বলে ৪১ রান। টেক্টর ৮০ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেছেন। তিনি মুরাদের টসড আপ ডেলিভারি মিড অফে খেলতে গিয়ে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন।
এরপর খালেদের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে কট বিহাইন্ড হয়ে গেছেন আয়ারল্যান্ডের উইকেটরক্ষক ব্যাটার লরকান টাকার। ১৬ বলে সাত রান করেন তিনি।
টেক্টরের হাফ সেঞ্চুরি, উইকেটের খোঁজে বাংলাদেশ
৭৭ রানে তিন উইকেট হারানোর পর হ্যারি টেক্টর ও কার্টিস ক্যাম্ফারের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় আয়ারল্যান্ড। টেস্ট মেজাজে দারুণ খেলতে থাকা টেক্টর নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। এটি তার পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি। ৭৮ বলে আসে তার এই হাফ সেঞ্চুরি।
প্রথম বলেই হাসান মুরাদের উইকেট
প্রথম বলেই উইকেট নেন হাসান মুরাদ। ২৫ বলে ১৭ রান করা ক্যাডে কারমাইকেলের উইকেট নেন তিনি। তার বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হন কারমাইকেল। তার স্টাম্প করার করা গুড লেংথের বলটি সামনের পায়ে খেলতে যান কারমাইকেল। কিন্তু ব্যাট-প্যাডের দূরত্ব থাকে অনেক।
সঙ্গী হ্যারি টেক্টরের সঙ্গে একবার কথা বলেই মাঠ ছাড়েন কারমাইকেল। তার বিদায়ে ভাঙে ৬৮ বল স্থায়ী ৫১ রানের জুটি। ৭৭ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় আইরিশরা।
আবারো তাইজুলের উইকেট
নিজের করা পরের ওভারে আবারও উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। এবার তার শিকার পল স্টার্লিং। তাইজুলের ফুলার লেংথের বলে শর্ট লেগে ক্যাচ তুলে দেন স্টার্লিং। আইরিশ ওপেনার ফিরে যান ২৭ বলে ৯ রান করে।
২৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় সফরকারিরা।
ষষ্ঠ ওভারে প্রথম উইকেটের দেখা পেল বাংলাদেশ
ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। দলীয় ২৩ রানে ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে প্রথম উইকেটের দেখা পেল বাংলাদেশ। তাইজুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান অ্যান্ডি বালবির্নি।
আইরিশ অধিনায়ক ১৯ বলে ১৩ রান করেন। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি। টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট এখন তাইজুলের
আয়ারল্যান্ডকে পাহাড়সম লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডকে ৫০৯ রানের বিশাল লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ। হাতে আছে প্রায় পাঁচ সেশনের মতো।
মুমিনুল হক ১১৮ বলে ৮৭ রানে ফিরে যাওয়ার পরই ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। গাভিন হোয়ের বলে সিলি মিড অফে সহজ ক্যাচ তুলে দেন মুমিনুল।
শততম টেস্ট খেলতে নামা মুশফিক তখন অপরাজিত ছিলেন ৮১ বলে ৫৩ রানে। বাংলাদেশ করে চার উইকেটে ২৯৭ রান।
সেঞ্চুরির পরের ইনিংসে মুশফিকের হাফ সেঞ্চুরি
শততম টেস্ট যেন রাঙিয়েই চলছেন মুশফিক। সেঞ্চুরির পরের ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন এই ব্যাটার। ৭৮ বলে আসে মুশফিকের টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৮তম হাফ সেঞ্চুরি। মুমিনুলের সঙ্গে তার শতরানের জুটি আরো আগেই শতরান ছাড়ায়।
পাঁচশ ছুঁই ছুঁই লিড নিয়ে লাঞ্চে বাংলাদেশ
সকালে ছয় বলের ব্যবধানে দুই উইকেট হারানোর পর থেকে ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ নেন মুমিনুল হক এবং মুশফিকুর রহিম। দুজনের জুটি পঞ্চাশ রান ছাড়ায়।
হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়ে সত্তরের ঘরে থেকে লাঞ্চে যান মুমিনুল। শততম টেস্ট খেলতে নামা মুশফিক আছেন হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি। বাংলাদেশ ৬৬ ওভারে করে তিন উইকেটে ২৮০ রান, লিড ৪৯১ রানের।
সিরিজে মুমিনুলের টানা তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি
প্রথম টেস্ট এবং দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন মুমিনুল হক। টেস্টে এটি তার ২৫তম হাফ সেঞ্চুরি। ৮২ এবং ৬৩ রানের পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আরেকটি হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন এই ব্যাটার। ৭৬ বলে আসে এই হাফ সেঞ্চুরি।
বাংলাদেশের দুইশ, লিড চারশ ছাড়াল
দেখতে দেখতে বাংলাদের লিড চারশ রান ছাড়িয়ে যায়। দলীয় সংগ্রহ দুইশ'র ঘরে আসে।
সকাল সকাল ২ উইকেট হারালো বাংলাদেশ
দিনের শুরুতে সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হকের জুটিতে পঞ্চাশ এসেছে ৪৯ বলে। এর একটু পরই শুরু হয় বিপদ। জায়গা দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন সাদমান ইসলাম। অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের একটু নিচু হওয়া ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান বাঁহাতি এই ওপেনার।
১১৯ বলে সাতটি চারে ৭৮ রান করেন তিনি। ভাঙে ৫৫ বল স্থায়ী ৫৪ রানের জুটি। রিভিউ না নিয়েই ফিরে যান সাদমান। একটু পর বিদায় নেন নাজমুল হোসেন শান্তও। জর্ডান নিলের বাড়তি বাউন্সে সুবিধা করতে পারেননি বাংলাদেশের অধিনায়ক।
বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের অফ স্টাম্পের বাইরের বলটি বাড়তি বাউন্স করে, দ্রুত ভেতরে ঢোকা বলে গালিতে সহজ ক্যাচ দেন শান্ত। অ্যান্ডি বালবার্নি সহজেই তা লুফে নেন। পাঁচ বলে এক রান করেন শান্ত। ছয় বলের ব্যবধানে দুই উইকেট হারালো বাংলাদেশ। ৪২ ওভারে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১৭৬।
ম্যাচ
- সিরিজ
- বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ
- ভেন্যু
- মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম
-
ক্রিকফ্রেঞ্জি -
ক্রিকফ্রেঞ্জি -
ক্রিকফ্রেঞ্জি -
ক্রিকফ্রেঞ্জি -
ক্রিকফ্রেঞ্জি -
ক্রিকফ্রেঞ্জি -
ক্রিকফ্রেঞ্জি -
ক্রিকফ্রেঞ্জি -
ক্রিকফ্রেঞ্জি -
ক্রিকফ্রেঞ্জি -
ক্রিকফ্রেঞ্জি -
ক্রিকফ্রেঞ্জি -
ক্রিকফ্রেঞ্জি