'অনুপ্রেরণার বড় উদাহরণ রাজ্জাক'

ছবি:

শ্রীলংকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের জন্য আকস্মিকভাবেই ১৬ সদস্যের স্কোয়াডে ডাক পেয়েছিলেন বর্ষীয়ান স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। মূলত ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ পারফর্মেন্স করেই নির্বাচকদের সুনজরে এসেছিলেন তিনি।
আর তার এই বয়সে দলে ঢোকার বিষয়টি অনুপ্রাণিত করবে যে কাউকে, এমনটা মনে করছেন একসময়ের জাতীয় দলের দুই নিয়মিত ক্রিকেটার নাফিস ইকবাল এবং আফতাব আহমেদ। মানব জমিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নাফিস ইকবাল জানান,
"রাজ ভাইয়ের বয়স এখন ৩৫, তাকে সুযোগ দেয়া হয়েছে সেটি ভাবতেই ভালো লাগে। আমাদের একটা রীতি হয়ে গিয়েছিল যে একটু বয়স হলেই তাকে দল থেকে বাদ দিতে হবে।
"এমনকি বাদ পড়ার পর পারফরম্যান্স করে গেলেও কোনো অনুপ্রেরণা থাকতো না, কেয়ার থাকতো না। আমার খেলা ছেড়ে দেয়ার কারণও সেটা। আমরা কিন্তু খেলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য কোনো ধরনের অনুপ্রেরণা পাইনি।"

একইসঙ্গে রাজ্জাকের মানসিকতার প্রশংসা করে নাফিস ইকবাল জানান, "কিন্তু রাজ ভাই একটা জিনিস প্রমাণ করেছেন যে, তিনি যখন খেলছিলেন তার লক্ষ্যটা খুব শক্ত ছিল। কিছু একটা করতে হবে। ঘরের ক্রিকেটে ৫০০ উইকেট নিয়েছেন।
"আমি বলবো তিনি (রাজ্জাক) শাহরিয়ার নাফীস, নাঈম ইসলামসহ বাদ পড়া যারা এখনো খেলে যাচ্ছে তাদের জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা। এটি একটি বার্তাও যে পারফরম করে গেলে সুযোগ আসতে পারে।"
এদিকে রাজ্জাকের দলে ডাক পাওয়া দেখে নিজের ক্যারিয়ারের আফসোস করছেন আফতাব আহমেদ। "রাজ্জাক ভাইকে দলে ফিরতে দেখে দারুণ লাগছে। তার এ বয়সেও ফিরে আসাটা অনেক কিছুর পরিবর্তনের আভাস। কারণ, একটা সময় ছিল ২৬-২৭ হলেই দল থেকে বাদ দেয়ার একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যেত।
"কিন্তু পারফরমারদের যে সুযোগ দেয়া উচিত সেটারই প্রমাণ এটি। দেখেন অস্ট্রেলিয়া দলে ব্রাড হজ কত বছর বয়সে দলে ফিরেছে। এমন অনেক ক্রিকেটার আছেন যাদের অভিষেক হয়েছে ৩০ পেরিয়ে। আমাদের এ চিন্তার পরিবর্তন দেখে ভালো লাগছে। আর তাকে দেখে মনে হচ্ছে যদি আরো কিছুদিন আমিও খেলে যেতাম তবে হয়তো আমারও এমন সুযোগ আসতো।"
তবে নিরাশার কথা হচ্ছে দলে ডাক পেয়েও শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের মূল একাদশে জায়গা পাননি আব্দুর রাজ্জাক। তিনজন স্পিনার হিসেবে দল মেহেদী হাসান, তাইজুল ইসলাম এবং অভিষিক্ত সানজামুল ইসলামের উপরেই ভরসা রেখেছে।