তবে দ্বিতীয় দিন ইংল্যান্ডের শেষ উইকেটকে পার্থক্য গড়ে দিতে দেয়নি অজিরা। ১৪ বলের মধ্যে শেষ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংলিশরা। ফলে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩৩৪ রানে। ২০৬ বলে ১৫টি চার ও ১ ছক্কায় ১৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন রুট। ডগেটের বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ারে লাবুশেনের এক হাতে দুর্দান্ত ক্যাচ হয়ে শেষ ব্যাটার হিসেবে ফেরেন জোফরা আর্চার। তবে ৩৮ রান করে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ বড় করতে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
জবাবে দ্বিতীয় দিনেই লিড তুলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তারা ৬ উইকেটে ৩৭৮ রান তুলে ইংল্যান্ডকে ভয় দেখাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার উপরের সারির ৪ ব্যাটারের মধ্যে ৩জনই পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। এর পেছনে বড় অবদান আছে ইংলিশ ফিল্ডারদেরও। তারা একের পর এক জীবন দিয়েছেন অজি ব্যাটারদের। তবে কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ওপেনিং জুটিতে ট্রাভিস হেড ও জ্যাক ওয়েদারাল্ড ৭৭ রান যোগ করেন।
আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান হেড ফেরেন মাত্র ৩৩ রান করে। ওয়াদারাল্ড আউট হয়েছেন ৭২ রান করে। এরপর মার্নাস ল্যাবুশেন ও স্টিভেন স্মিথ মিলে অস্ট্রেলিয়ার রান বাড়িয়েছেন। স্মিথের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়ে ল্যাবুশেন ফিরেছেন ৬৫ রান করে। এরপর ক্যামেরন গ্রিনকে নিয়ে আরও ৯৫ রান যোগ করেন স্মিথ।
গ্রিন ৪৫ রান করে ফিরলে এই জুটি ভাঙে। স্মিথ আউট হয়েছেন ৬১ রান করে। চোখধাঁধানো ক্যাচ নিয়ে স্মিথকে ফেরান উইল জ্যাকস। বাকি সময়টা একের পর এক ক্যাচ মিসে মাথায় হাত চাপড়াতে হয়েছে ইংলিশ অধিনায়ক স্টোকসকে। তারা অন্তত ৫টি ক্যাচ হাতছাড়া করেছেন।
ফলে অস্ট্রেলিয়াকে চেপে ধরার সুযোগ পেয়েও তাই কাজে লাগাতে পারল না ইংলিশরা। অজি ব্যাটার জস ইংলিস দ্রুত আউট হয়ে গেছেন ২৩ রানে। বাকি সময়টা স্বাচ্ছন্দ্যে কাটিয়েছেন অ্যালেক্স ক্যারি ও মাইকেল নেসার। তাদের জুটি অবিচ্ছিন্ন আছে ৪৯ রানে। ক্যারি ৪৬ আর নেসার ১৫ রান করে অপরাজিত আছেন।
ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে অজিদের সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন ব্রাইডন কার্স। তিনি একাই ৩ উইকেট নিয়েছেন। দুটি উইকেট পেয়েছেন স্টোকস। আর বাকি ১ উইকেট আর্চারের। তৃতীয় দিনে নাটকীয় কিছু করতে না পারলে নিশ্চিতভাবেই চাপে পড়তে যাচ্ছে ইংলিশরা।