আইসিসির নির্দেশনা অনুযায়ী, ‘খুব ভালো’ রেটিং মানে পিচে ছিল বলের ভালো ক্যারি, সীমিত সিম মুভমেন্ট এবং ধারাবাহিক বাউন্স। ম্যাচ মাত্র দুই দিনে শেষ হলেও ব্যাট ও বলের লড়াইকে তারা সন্তোষজনক ও ভারসাম্যপূর্ণ বলেই বিবেচনা করেছে।
পার্থ টেস্ট শেষ হয়েছে মাত্র ৮৪৭ বলে। এটি অস্ট্রেলিয়ায় দ্রুত শেষ হওয়া টেস্টগুলোর মধ্যে দ্বিতীয়। এর চেয়ে দ্রুত কোনো অ্যাশেজ টেস্ট শেষ হয়েছে শুধু ১৮৮৮ সালে।
ম্যাচের প্রথম তিন ইনিংসে পুরোপুরি আধিপত্য ছিল পেসারদের। অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক প্রথম ইনিংসে নেন সাত উইকেট, ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস নেন পাঁচ উইকেট। জফরা আর্চাররাও দারুণ বোলিং করেন। প্রথম দিনেই পড়ে ১৯ উইকেট।
দ্বিতীয় দিনেও দুই দলের পেসাররা নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখেন। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৪ রানে অলআউট হয়। ব্যাট হাতে ম্যাচের গতিপথ পাল্টান ট্রাভিস হেড। ৮৩ বলে তার ১২৩ রানের ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ২০৫ রানের লক্ষ্য এক সেশনেই পেরিয়ে যায়।
দুই দিনের খেলা দেখতে মাঠে এসেছিলেন এক লাখের বেশি দর্শক। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চিফ অব ক্রিকেট জেমস অলসপ জানান, তৃতীয়-চতুর্থ দিনের টিকিটধারীরা হতাশ হলেও এই দুই দিনের পারফরম্যান্স অ্যাশেজে নতুন উদ্দীপনা এনেছে।
তিনি বলেন, ‘তৃতীয় ও চতুর্থ দিনের টিকিট যাদের হাতে ছিল সেই দর্শকদের জন্য বিষয়টি অবশ্যই হতাশার। কিন্তু এই দুই দিনে আমরা যে দুর্দান্ত ক্রিকেট দেখেছি, তা অ্যাশেজে নতুন প্রাণ ফিরিয়ে এনেছে।’
জেমস অলসপ আরও বলেন, ‘ম্যাচ রেফারির “খুব ভালো” রেটিং প্রমাণ করে যে পার্থ স্টেডিয়ামের উইকেট ব্যাট-বলের ন্যায্য লড়াইয়ের সুযোগ দিয়েছে। দুই দলের পেস বোলারদের দারুণ আধিপত্য আর উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইয়ের কারণেই ম্যাচটি মাত্র দুই দিন স্থায়ী হয়েছে। হ্যাঁ, তৃতীয় ও চতুর্থ দিনের টিকিটধারীদের জন্য খেলা না হওয়াটা হতাশাজনক। তবে দুই দিনে আমরা এমন সব মুহূর্ত দেখেছি, যা দর্শকের মন জয় করেছে, টিভির দর্শকসংখ্যা বাড়িয়েছে এবং এই গ্রীষ্মে আরও বেশি শিশুদের ব্যাট-বল হাতে খেলতে অনুপ্রাণিত করবে।’