কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করছিলেন গিল। অফ স্পিনার সাইমন হার্মারের বলে সুইপ করে বাউন্ডারি মারার পরই অস্বস্তি অনুভব করেন। পরবর্তীতে ফিজিও এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলেও ঘাড়ের ব্যথা কমেনি। যার ফলে মাঠ ছাড়েন তিনি। ওই টেস্টে আর ব্যাটিংয়েই নামেননি ভারতের অধিনায়ক।
ঘাড়ে টান লাগায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে স্ট্রেচারে করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় গিলের ঘাড়ে নেক ব্রেস ছিল। চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান ডানহাতি এই ব্যাটার। যদিও গৌহাটি টেস্টে খেলা নিয়ে তখন থেকেই সংশয় ছিল। শেষ পর্যন্ত সেটাই হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে দ্বিতীয় টেস্ট মিস করতে যাচ্ছেন গিল।
ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গিলকে এখনই খেলতে নিষেধ করেছেন চিকিৎসরা। তাদের বিশ্বাস দ্রুত খেলতে নামলে ঘাড়ে আবারও টান লাগার ঝুঁকি রয়েছে। এজন্য দ্বিতীয় টেস্টের সময় তাকে বিশ্রামে থাকতে বলা হয়েছে। আগামী ২৩ নভেম্বর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দল ঘোষণা করবে ভারত। দুই-তিন দিনে কতটা সেরে উঠছেন সেটার উপর নির্ভর করবে ওয়ানডে সিরিজ খেলা।
গিল না থাকায় ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া গৌহাটি টেস্টে দেখা যেতে পারে সাই সুদর্শন, দেবদূত পাডিকাল ও নীতিশ কুমার রেড্ডির যেকোনো একজনকে। প্রথম টেস্টে সুদর্শনকে বাদ দেয়ায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১২৪ রান তাড়া করতে নেমে ৩০ রানে হারে ভারত। ঘরের মাঠে সবশেষ ৬ টেস্টের চারটিতেই হেরেছে তারা।