দুর্দান্ত এক স্লোয়ার ডেলিভারিতে পরের বলে শেফার্ড বোকা বানান ডাফি। এক বলে যখন ৯ রান প্রয়োজন তখন শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়েছেন শেফার্ড। শেরফানে রাদারফোর্ডের হাফ সেঞ্চুরির পাশাপাশি কেসি কার্টি, শাই হোপ, গ্রিভসরা অবদান রাখলেও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ওয়ানডেতে ক্যারিবীয়দের ৭ রানে হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড। পরের ম্যাচটি হবে ১৯ নভেম্বর, নেপিয়ারে।
ক্রাইস্টচার্চে জয়ের জন্য ২৭০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় তৃতীয় ওভারেই জন ক্যাম্পবেলের উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কাইল জেমিসনের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে এজ হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন অ্যালিক আথানাজে ও কার্টি। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৬০ রান। আথানাজেকে ফিরিয়ে তাদের জুটি ভাঙেন মিচেল স্যান্টনার। বাঁহাতি স্পিনারের বলে টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় স্কয়ার লেগ ক্যাচ দিয়েছেন ২৯ রান করা আথানাজে।
একটু পর আউট হয়েছেন কার্টিও। জেমিসনের অফ স্টাম্পের বাইরের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়েছেন ৬৭ বলে ৩২ রান। হোপ ও রাদারফোর্ড মিলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এগিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও খুব বেশি দূর নিয়ে যেতে পারেননি। ভালো শুরু পেলেও ৪৫ বলে ৩৭ রান করে থামতে হয়েছে হোপকে। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রস্টন চেজও। ম্যাট হেনরির বলে আউট হয়েছেন ১৬ রানে।
দারুণ ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন রাদারফোর্ড। ৫৩ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়া বাঁহাতি ব্যাটার ছক্কা মারার চেষ্টায় আউট হয়েছেন ৬১ বলে ৫৫ রানে। পরবর্তীতে শেফার্ড ১৯ বলে ২৬ এবং গ্রিভস ২৪ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন জেমিসন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন হেনরি, জ্যাক ফকস এবং স্যান্টনার।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ২৬৯ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ১১৯ রানের ইনিংস খেলেছেন মিচেল। এ ছাড়া ডেভন কনওয়ে ৪৯, মাইকেল ব্রেসওয়েল ৩৫ এবং ফকস ২২ রান করেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন জেইডেন সিলস। দুইটি উইকেট পেয়েছেন ম্যাথু ফোর্ড।