শ্বাসরূদ্ধকর লড়াইয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে কিউইদের ৭ রানে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১২ বারের চেষ্টায় অবশেষে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টি-টোয়েন্টিতে জয় পেয়েছে সফরকারীরা। আগের ১১ ম্যাচের দুইটিতে টাই হলে একটিতে সুপার ওভার খেলে জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে মূল ম্যাচে তাদের জয় ছিল না একটিতেও। শাই হোপ, রস্টন চেজ এবং রভম্যান পাওয়েলের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সঙ্গে জেইডেন সিলস ও চেজের বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে ক্যারিবীয়রা।
অকল্যান্ডে জয়ের জন্য ১৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ের আভাস দেন ডেভন কনওয়ে এবং টিম রবিনসন। যদিও তাদের দুজনের জুটি ভেঙেছে চতুর্থ ওভারেই। ম্যাথু ফোর্ডের বলে বোল্ড হয়েছেন ১২ বলে ১৩ রান করা কনওয়ে। পাওয়ার প্লে শেষ হতে আউট হয়েছেন আরেক ওপেনার রবিনসনও। ২১ বলে ২৭ রান করেছেন। ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি মার্ক চ্যাপম্যান, ড্যারিল মিচেলরা।
ভালো শুরু পেলেও ১৯ বলে ২১ রান করে ফিরতে হয়েছে রাচিন রবীন্দ্রকে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ১১ বলে ১১ রান করে আউট হয়েছেন জেমস নিশাম। ১০৭ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে নিউজিল্যান্ড। তবে সেখান থেকে স্বাগতিকদের টেনে তোলার চেষ্টা করেন স্যান্টনার। তিনি নিজে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকলেও দলকে জেতাতে পারেননি। ৭ রানের জয়ের দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন সিলস ও চেজ। এ ছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন ফোর্ড, শেফার্ড এবং আকিল হোসেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই ব্রেন্ডন কিংয়ের উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আরেক ওপেনার অ্যালিক আথানাজও ফিরে গেছেন দ্রুতই। ৯ বলে ১৬ রান করে আউট হয়েছেন জেমিসনের বলে। বাংলাদেশ সফরে ব্যাটিংয়ে আলো ছড়ানো আকিম ওগিস আউট হয়েছেন ৮ বলে ২ রান করে। পরবর্তীতে হোপ এবং চেজ মিলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছেন। তাদের দুজনের ব্যাটেই শুরুর ধাক্কা সামাল দেন।
দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন হোপ। যদিও পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর ৩৯ বলে ৫৩ রান করে ফিরেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক। সফরকারীদের রান দেড়শর কাছে নিয়ে গেছে চেজ ও পাওয়েল জুটি। ড্রেসিং রুমে ফেরার আগে চেজ ২৭ এবং পাওয়েল ৩৩ রানে আউট হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান তোলে ক্যারিবীয়রা। নিউজিল্যান্ডের হয়ে দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন ডাফি এবং জ্যাক ফকস।