নাকভির অবস্থান পরিষ্কার। ট্রফিটি শুধু ব্যক্তিগতভাবে, সরাসরি উপস্থিতিতে ভারতের হাতে তুলে দেয়া হবে। বিসিসিআই এই শর্ত মানতে রাজি না হওয়ায় দুই বোর্ডের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। এমন পরিস্থিতিতে বিসিসিআইয়ের পাঠানো অভিযোগপত্রের উত্তর দিয়েছেন নাকভি।
চিঠিতে নাকভি লেখেন, 'আপনারা যে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে চিঠি পাঠিয়েছেন, সেটা এজিএম শুরুর ঠিক আগে পেয়েছি। ভার্চুয়ালি মিটিংয়ে বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে ছিলেন রাজীব শুক্লা ও আশীষ শেলার। এজিএমে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। যেহেতু আপনারা চিঠিটি এসিসিয়ের অন্য সদস্যদের মধ্যেও বিতরণ করেছেন, তাই বিষয়টি পরিষ্কার করা প্রয়োজন।'
ভারতীয় দলকে অভিনন্দন জানালেও ট্রফি বিতরণ পর্বে দলের আচরণ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন নাকভি। তিনি বলেন, 'ভারত দলকে এশিয়া কাপ জয়ের জন্য আমরা অভিনন্দন জানাচ্ছি। তবে দুঃখের বিষয়, মাঠে এমন ক্রীড়াসুলভ আচরণ দেখা যায়নি। আমি প্রায় ৪০ মিনিট ট্রফি হস্তান্তরের জন্য মঞ্চে অপেক্ষা করেছিলাম।'
নাকভির মতে, বিসিসিআইয়ের পাঠানো চিঠিতে মূল বিষয় থেকে সরে যাওয়া হয়েছে। তিনি লিখেছেন, 'বাকি চিঠির বক্তব্য আপত্তিকর ও মূল ক্রিকেটীয় মূল্যবোধ থেকে বিচ্যুত। এসিসি সভাপতির অফিস ছোটখাটো রাজনীতিতে জড়াতে চায় না। পুরস্কার বিতরণ নিয়ে বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে আগে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়া হয়নি। অনুষ্ঠান শুরুর ঠিক আগে এসে জানানো হয় যে ভারতীয় দল ট্রফি ও পুরস্কার গ্রহণ করবে না।'
এদিকে ভারতীয় দল কেন ট্রফি নিতে রাজি হয়নি, সে বিষয়ে এখনো বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যাখ্যা আসেনি। তবে ট্রফি বিতরণ অনুষ্ঠান ঘিরে তৈরি হওয়া এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এশিয়ান ক্রিকেটে নতুন করে রোমাঞ্চকর পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছে।