এমনটা জানা আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও। এ কারণে বাংলাদেশ সফরে আসার আগে ভারতের চেন্নাইতে ক্যাম্প করেছে ক্যারিবিয়ানরা। মূলত বাংলাদেশ সিরিজের প্রস্তুতি নিতেই সেই ক্যাম্পটি আয়োজন করেছে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সিডব্লিউআই)।
বোর্ডের প্রতি তাই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ক্যারিবিয়ানদের প্রধান কোচ ড্যারেন স্যামি। কয়েকদিন আগেই ভারতের বিপক্ষে টেস্টে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সাদা পোশাকের দল যখন টেস্ট খেলে, তখনই চেন্নাই একাডেমিতে ব্যস্ত সময় কাটান কেসি কার্টি, গুড়াকেশ মোতি এবং আমির জাঙ্গুরা।
স্যামি বলেন, 'রাদারফোর্ড, শেফার্ড এবং শামার ছাড়া বাকিরা চেন্নাইয়ের একাডেমিতে ছিল। বাংলাদেশ সিরিজের জন্য ক্রিকেটারদের প্রস্তুত করতে বোর্ড যে পদক্ষেপ নিয়েছে সেজন্য তাদের প্রশংসা করতেই হয়। কেসি কার্টি, আকিম, ও’গিস, গুড়াকেশ মোতি, ইয়ানিক কারিয়াহ, আমির জাঙ্গু যারা টেস্টে ছিল তারা সবাই চেন্নাইয়ের একাডেমীতে প্রস্তুতি নিচ্ছিল।'
'ছেলেদের প্রস্তুতির জন্য এমন ব্যবস্থা করতে পারায় আমি খুশি। আবারও বলছি, আমি বিশ্বাস করি আপনি ভালো প্রস্তুতি নিলে আপনার ভালো পারফর্ম করার সুযোগ থাকে। অধিনায়ক যেমনটা বলেছে দিনশেষে আপনি কীভাবে খেললেন এবং সফল হওয়ার জন্য আপনার স্কিল কীভাবে ব্যবহার করলেন সেটাই মূখ্য। আমাদের স্কিলকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে।'
চেন্নাইয়ের একাডেমিতে মূলত স্লো উইকেটে খেলা অনুশীলন করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। বাংলাদেশ দল যেন স্পিনে বাড়তি সুবিধা কাজে লাগাতে না পারে এ কারণেই মূলত ক্যাম্পটি আয়োজন করা। তবে মাঠের লড়াইয়েই ফলাফল আনতে হবে বলে মনে করেন স্যামি। আপাতত ভারত থেকে বাংলাদেশে আসাটা ক্যারিবিয়ানদের জন্য বাড়তি একটা সুবিধা বলে মনে করেন তিনি।
স্যামি আরও বলেন, 'আমার মনে হয় ভারত থেকে এখানে আসাটা আমাদের জন্য বাড়তি একটা সুবিধা। কারণ ছেলেরা এমন কিংবা কাছাকাছি কন্ডিশনে খেলে অভ্যস্ত হয়েছে। কিন্তু দিন শেষে অধিনায়ক যেমনটা বলল অভিজ্ঞতা, জ্ঞান এবং ক্রিজে কীভাবে নিজেকে প্রয়োগ করছে সেটাই আসল। আমাদের দলের কয়েকজনের জন্য খুব সম্ভবত নতুন। খেলার সময়ই তাদের শিখতে হবে।'
'আপনি কন্ডিশন মূল্যায়ন করবেন এবং সফল হওয়ার জন্য কী প্রয়োজন সেই সিদ্ধান্ত নেবেন। আমি আগেও বলেছি আমি নিজে যতটা দেখেছি বাংলাদেশের মাটিতে চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে সেই সব চ্যালেঞ্জের জন্য আমার দল অনেক বেশি প্রস্তুত। কারণ আমাদের বেশিরভাগ ব্যাটারই ভারতে খেলে বাংলাদেশে এসেছে।'