গ্রিনের পরিবর্তে মার্নাস ল্যাবুশেনকে ওয়ানডে দলে ডাকা হয়েছে। শনিবার শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচ শেষ করেই তিনি অ্যাডেলেড থেকে পার্থে উড়ে যাবেন, যেখানে রোববার প্রথম ওয়ানডে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। পিঠের অস্ত্রোপচারের পর গ্রিন সম্প্রতি প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছিলেন।
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে শিল্ডের প্রথম রাউন্ডে খেললেও পুরোপুরি বোলিং করতে পারেননি গ্রিন। ম্যাচে তার জন্য নির্ধারিত ছিল আট ওভার, কিন্তু তিনি মাত্র চার ওভার করেন এবং একটি উইকেট নেন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মেডিকেল টিমের পরামর্শে তাকে টানা দুই দিন বল করতে দেয়া হয়নি।
প্রথম দুই ওয়ানডেতে গ্রিনের বোলিং করার সম্ভাবনা কম ছিল। তিনি মূলত শিল্ডের তৃতীয় রাউন্ডে (২৮ অক্টোবর শুরু) আরও বেশি ওভার বোলিং করার লক্ষ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তৃতীয় ওয়ানডে ও পরবর্তী টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাকে বিশ্রাম দেয়ার পরিকল্পনা ছিল, যাতে তিনি অ্যাশেজের জন্য শিল্ডে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেন।
এই চোটে গ্রিন আপাতত পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় থাকবেন এবং ১১ দিনের মধ্যে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে শিল্ডের পরবর্তী ম্যাচে খেলার লক্ষ্যে কাজ করবেন। এরই মধ্যে অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও চোটে ভুগছেন এবং তার প্রথম টেস্টে খেলার সম্ভাবনা কম।
ওয়ানডে সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার দলে আরও বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় নেই। কামিন্স পুরো সিরিজে অনুপস্থিত, জশ ইংলিস অন্তত প্রথম দুই ম্যাচ খেলতে পারবেন না, অ্যাডাম জাম্পা ও অ্যালেক্স ক্যারিও প্রথম ম্যাচে থাকছেন না। তবে দলে ফেরানো হয়েছে ল্যাবুশেনকে, যিনি সম্প্রতি ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন।