১৭৩ রানে প্রথম দিন অপরাজিত থাকা জয়সাওয়াল এ দিন ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারেননি। ১৭৫ রানে থাকা অবস্থায় রান আউটের শিকার হন তিনি। ৩২৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় ভারত। তারপর ৯১ রানের জুটি গড়েন নিতিশ কুমার রেড্ডি এবং গিল।
সেঞ্চুরি করেন অধিনায়ক গিল। ১২৯ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন তিনি। রেড্ডি ৫৪ বলে ৪৩ রানে আউট হন। জোমেল ওয়ারিক্যানের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন এই অলরাউন্ডার।
রেড্ডি ফিরলে উইকেটরক্ষক ধ্রুব জুরেল ৭৯ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। তাকে বোল্ড করে বিদায় করেন চেজ। জুরেল আউট হতেই ইনিংস ঘোষণা করেন ভারত অধিনায়ক শুভমান গিল। এ দিন বেশ কয়েকটি রেকর্ডও গড়েন গিল।
টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার দশম সেঞ্চুরি। একইসাথে গত সাত টেস্টে এটি তার পঞ্চম সেঞ্চুরি। একইসাথে অধিনায়ক হিসেবে বিরাট কোহলির পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসাবে একই বছরে পাঁচটি টেস্ট সেঞ্চুরি করলেন গিল।
টেস্ট ক্রিকেট থেকে কয়েকমাস আগে অবসর নেয়া কোহলি এমন কীর্তি গড়েন দুবার। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে অধিনায়ক হিসেবে কোহলি পাঁচটি করে সেঞ্চুরি করেন। ২০১৭ সালে ১৬ ইনিংস, ২০১৭ সালের ২৪ ইনিংসে পাঁচটি করে সেঞ্চুরি করেন তিনি। এই হিসেবে বেশ এগিয়ে গিল। মাত্র ১২ ইনিংসেই কোহলির পাশে জায়গা করলেন তিনি।
ব্যাটিংয়ে নেমে অষ্টম ওভারে প্রথম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জাদেজার ঘূর্ণি বুঝতে না পেরে শর্ট লেগে ক্যাচ দেন জন ক্যাম্পবেল। ২৫ বলে ১০ রান করেন তিনি। তারপর ৬৬ রানের জুটি গড়েন ত্যাগনারায়ণ চন্দরপল এবং আথানেজ।
এই জুটিও ভাঙেন জাদেজা। তার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ৬৭ বলে ৩৪ রান করা চন্দরপল। দলের রান একশ পার হতেই আবার বিপদে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৪১ রান করা আথানেজকে ফেরান কুলদিপ যাদব। মিড উইকেটে জাদেজাকে ক্যাচ দেন এই ব্যাটার।
পরের ওভারে চেজকে কট এন্ড বোল্ড করে আবার বিপদে ফেলে দেন জাদেজা। এ দিন রানের খাতাই খুলতে পারেননি ক্যারিবীয় অধিনায়ক। ক্যারিবিয়ানদের হয়ে দিনের বাকিটা সময় নিরাপদে পার করেন শাই হোপ এবং টেভিন ইমলাচ। ৪৬ বলে ৩১ রানে অপরাজিত আছেন হোপ। ইমলাচ করেন অপরাজিত ১৪ রান।