ঘটনার মূল সূত্রপাত ট্রফি দেয়ার বিষয়টি ঘিরে ভারতীয় দলের আপত্তি থেকে। বিসিসিআইয়ের সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, ভারত এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি মহসিন নাকভির কাছ থেকে ট্রফি নিতে রাজি ছিল না। নাকভি বর্তমানে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পিসিবির চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেন,
'ক্রিকেট খেলা শুরুর পর বা যত দিন ধরে অনুসরণ করি, কখনো এমন কিছু দেখিনি যে চ্যাম্পিয়ন দলকে ট্রফি দেয়া হচ্ছে না। তা–ও আবার সেটা অনেক কষ্ট করে অর্জন করতে হয়েছে। আমার মনে হয় আমরা এটার প্রাপ্য ছিলাম, এর চেয়ে বেশি কিছু আমি বলতে পারি না।'
পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে উপস্থিত একটি সূত্র জানায়, ভারতের পক্ষ থেকে প্রথমে প্রস্তাব আসে ট্রফি যেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বা আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের সহসভাপতি খালিদ আল জারুনি তুলে দেন। পরে ভারত জানায়, ট্রফি হস্তান্তরের সময় মহসিন নাকভি যেন মঞ্চে উপস্থিত না থাকেন। এই অবস্থায় আয়োজকদের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন হয়ে পড়ে এবং শেষ পর্যন্ত পুরো ট্রফি বিতরণ পর্বই বাতিল করা হয়।
এমন পরিস্থিতির পরেও ভারতের খেলোয়াড়দের মধ্যে উদ্যাপনে কোনো ভাটা ছিল না। মাঠেই কল্পিত ট্রফি হাতে উদ্যাপন করেন তারা। একসঙ্গে দাঁড়িয়ে, দুই হাতে কিছু ধরা আছে এমন ভঙ্গিতে ছবি তোলেন। সেই ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
সূর্যকুমার বলেন,
'আপনি ট্রফি দেখেননি? আমি নিয়ে এসেছিলাম (কল্পিত) ট্রফিটা, তাই না? দলও পোডিয়ামে ছিল। অভিষেক ও শুভমান তাঁদের ব্যক্তিগত অর্জনের ট্রফির সঙ্গে ছবি দিয়েছে।'
এবারের আসরে ভারত টানা সাত ম্যাচে জিতে অপরাজিতভাবে শিরোপা জেতে। তিনটি ম্যাচে তারা হারিয়েছে পাকিস্তানকে। অধিনায়ক সূর্য জানান, মাঠের পারফরম্যান্সই তাদের কাছে সবচেয়ে বড় পুরস্কার।
'যদি আপনি ট্রফির কথা বলেন, আমার ট্রফি ড্রেসিংরুমে রাখা আছে—১৪ জন ক্রিকেটার আর সাপোর্ট স্টাফ। তাঁরা সবাই সত্যিকারের ট্রফি। আমি এই পুরো যাত্রায় তাঁদের বড় ভক্ত।'