এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শুক্রবার মাঠে নামবে পাকিস্তান। মাঠে নামার আগে সংবাদ সম্মেলনে তার কাছে জানতে চাওয়া হয় কীভাবে তিনি মোহাম্মদ রিজওয়ান আর বাবর আজমের দুর্বলতা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলার সাহস পেলেন? এমন প্রশ্ন শুনে খানিকটা বিব্রত হয়েছেন পাকিস্তান কোচ।
এরপর তিনি উত্তরে বলেছেন, 'খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করার ক্ষেত্রে সৎ হওয়া খুব জরুরি। কোনো গোপন উদ্দেশ্য ছাড়া নিরপেক্ষভাবে বিষয়গুলো দেখা গুরুত্বপূর্ণ। আমি কারো দুর্বলতা নিয়ে আলাদা করে কিছু বলিনি। আমি শুধু ইঙ্গিত করেছি আধুনিক ক্রিকেটের ধরণ আর প্রয়োজনীয় স্ট্রাইক রেটের দিকে, বিশেষ করে ভালো কন্ডিশনে। খেলোয়াড়রা কোচদের কাছ থেকে শুধু সততাই আশা করে। দায়িত্ব সেখানেই। কারো প্রতি ভালো লাগা বা সম্পর্ক থাকার মানে এই নয় যে, তার ব্যাপারে সৎ থাকা যাবে না।‘
এরপর পাকিস্তান দলের ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন পাকিস্তানের এই প্রধান কোচ। হেসনকে প্রশ্ন করা হয় পাকিস্তানের ব্যাটিং নিয়ে তার আস্থা আছে কিনা। মোহাম্মদ হারিস দলের প্রত্যাশার প্রতিদান দিতে পারছে কিনা তা নিয়ে এমন প্রশ্ন জানতে চাওয়া হয় তার কাছে। এ ছাড়া সাইম আইয়ুব ও সাহিবজাদা ফারহানের অধারাবাহিক পারফরম্যান্স নিয়েও সাংবাদিকদের তোপের মুখে পড়েছেন তিনি।
হেসন বলেছেন, 'এই ব্যাটিং লাইনআপটি ধীরে ধীরে উন্নতি করছে। একেক দিন ভিন্ন ভিন্ন ব্যাটার আপনাকে ম্যাচ জেতাতে পারে, তবে এখনো তাদের সেভাবে ধারাবাহিক ভালো দিন আসছে না—এটা স্বাভাবিক। আমাদের কাছে আসল বিষয় হলো দলগতভাবে আমরা কীভাবে শেষ পর্যন্ত কাজটা করি। শারজাহতে প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই আমরা গড়ে ২০ রান বাড়তি করেছি। যদিও অনেক খেলোয়াড় আলাদাভাবে কিছু ম্যাচে ভালো করতে পারেনি, আমি বরং দেখি পুরো দল মিলে কোথায় দাঁড়াচ্ছে। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে আমরা ১৪০ করেছি, যেখানে ১২০-ই যথেষ্ট ছিল।'
আগামী ১৪ই সেপ্টেম্বর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে এবারের এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দুবাইয়ে মাঠে নামবে পাকিস্তান। সেখানে পাকিস্তানের দুই স্পিনার কুলদীপ যাদব ও বরুণ চক্রবর্তী পাকিস্তানের ব্যাটারদের বড় পরীক্ষা নিতে পারেন। অনেকেই মনে করেন পাকিস্তানি ব্যাটাররা স্পিনারদের বলের অ্যাকশন দেখে আগে থেকেই বল অনুমান করে রাখেন। তবে হেসন এমন অভিযোগ রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছেন।
পাকিস্তান কোচ বলেছেন, 'আমি জানি না এই ধারণা কোথা থেকে এলো। আমরা তো রশিদ খান আর নূর আহমেদের বিপক্ষে খেলেছি। আমরা হয়তো বিশ্বের সেরা লেগ-স্পিন আক্রমণের বিপক্ষেই খেলেছি (ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে) শারজাহর টার্নিং উইকেটে। আর সেখানেই প্রতিপক্ষের চেয়ে ৭৫ রান বেশি করেছি। তাই এই অভিযোগ কোথা থেকে এলো বুঝতে পারছি না।'