২০২৭ বিশ্বকাপে রোহিত-কোহলির জায়গা পাওয়া কঠিন হবে, মনে করেন গাঙ্গুলি

ছবি: ফাইল ছবি

সবশেষ কয়েক বছরে ক্রিকেটের কোন সংস্করণেই নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারছেন না রোহিত ও কোহলি। ধারাবাহিকভাবে রান করতে না পারায় প্রায়শই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যেমন ফাইনালের ওই হাফ সেঞ্চুরি ছাড়া পুরো টুর্নামেন্টে বলার মতো কিছু করতে পারেননি। ম্যাচসেরা হওয়ার পর সেদিনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দেন কোহলি। সংবাদ সম্মেলনে এসে একই কাজ করেছেন তৎকালীন অধিনায়ক রোহিতও।
কোহলির ‘ফাইটিং স্পিরিট’ মিস করবে ভারত: স্টোকস
১৮ জুন ২৫
গুঞ্জন ছিল ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলেই ৫০ ওভারের ক্রিকেট ছেড়ে দেবেন রোহিত। যদিও এমন কিছু হয়নি। বরং শিরোপা জিতে ডানহাতি ওপেনার নিশ্চিত করেছেন ওয়ানডে ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার কথা। ক্রিকেটের এই সংস্করণে অবশ্য কোহলিকে নিয়ে খুব বেশি আলোচনা নেই। তবে সবশেষ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সময় আচমকা টেস্ট থেকে অবসর নেন তারা দুজনই। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুজনের কেউই ব্যাটিংয়ে প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। আপাতত ওয়ানডে ক্রিকেট চালিয়ে যেতে চান তারা দুজন।

২০২৭ সালে সাউথ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে এবং নামিবিয়ায় হতে যাওয়া বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, সাউথ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মেট ২৭ ওয়ানডে খেলবে ভারত। ওই টুর্নামেন্টের সময় কোহলির ৩৮ এবং রোহিতের বয়স হবে প্রায় ৪০ বছর। ফিটনেস ধরে রাখা এবং এত কম ম্যাচ খেলে তারা দুজন জায়গা করে নিতে পারবেন কিনা তা নিয়েই সংশয় প্রকাশ করেছেন গাঙ্গুলি। ভারতের সাবেক অধিনায়ক বিশ্বাস করেন, তারা নিজেরা সিদ্ধান্ত নেবে।
বুমরাহর অধিনায়কত্ব নেয়ার পথে বাধা ছিল ‘ওয়ার্কলোড’
১৮ জুন ২৫
পিটিআইয়ের সঙ্গে আলাপকালে গাঙ্গুলি বলেন, ‘বছরে ১৫ ম্যাচ খেলে এটা (২০২৭ বিশ্বকাপের দলে জায়গা করে নেওয়া) সহজ হবে না। তাদের জন্য আমার কোনো পরামর্শ নেই। আমি মনে করি, খেলাটি সম্পর্কে তারা আমার মতোই জানে। তারা নিজেদের সিদ্ধান্ত নেবে। আমাদের সকলকেই বুঝতে হবে, অন্য সবার মতো একটা সময় খেলা ওদের থেকে দূরে সরে যাবে এবং ওরাও খেলা থেকে দূরে যাবে।’
বর্তমান ইংল্যান্ডের মাটিতে তাদের বিপক্ষে পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলছে ভারত। একই সময়ে ইংল্যান্ডে স্ত্রী আনুশকা শর্মাকে নিয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন কোহলি। টেস্ট থেকে অবসর নেয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ইংল্যান্ড সফরে নেই ডানহাতি এই ব্যাটার। গাঙ্গুলি বিশ্বাস করেন, কোহলি যদি ইংল্যান্ড সফরে থাকতেন তাহলে রানের বন্যা বইয়ে দিতেন। তবে এটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার নিজেই মনে করেছেন এখন তার যাওয়ার সময় হয়ে গেছে।
গাঙ্গুলি বলেন, ‘এমন একটা সময় অবসর নেয়া উচিত যখন মানুষ বলবে কেন অবসর নিলে। এমন সময় নেয়া উচিত না যখন বলবে কেন অবসর নিচ্ছে না। একজন খেলোয়াড় হিসেবে আপনি আপনার জায়গাটা জানেন। সে জানতো সবশেষ ৫ বছরে টেস্টে সেরাটা দিতে পারেনি। কিন্তু তাঁর মতো একজন চ্যাম্পিয়ন উপায় খুঁজে বের করতো। বিরাট যদি ইংল্যান্ড সফরে থাকতো তাহলে আমি আত্মবিশ্বাসী সে প্রচুর রান করতো। কিন্তু সে মনে করেছে এখনই যাওয়ার সময়।’