রিজওয়ান-সালমানের সেঞ্চুরিতে ফাইনালে পাকিস্তান

ছবি: সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সালমান আলী আঘার সেঞ্চুরি

ফাইনালে যেতে জয়ের বিকল্প ছিল না দুই দলের কারও কাছেই। এমন ম্যাচে টেম্বা বাভুমা, ম্যাথু ব্রিটজকে এবং ক্লাসেনের ব্যাটে সাড়ে তিনশ পার করা পুঁজি পায় সাউথ আফ্রিকা। করাচির রানপ্রসবা উইকেটে অবশ্য সেটা যথেষ্ট ছিল না সফরকারীদের জন্য। একশর আগে তিন উইকেট হারালেও মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সালমান আলী আঘার সেঞ্চুরি ও আড়াইশ পেরোনো জুটিতে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। প্রোটিয়াদের ৬ উইকেটে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে উঠে গেছে তারা। ১৪ ফেব্রুয়ারি একই মাঠে তাদের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড।
হারিসকে নিয়ে সুখবর দিলেন রিজওয়ান
১৮ ফেব্রুয়ারি ২৫
করাচির ন্যাশনাল ব্যাংক স্টেডিয়ামে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৫৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করাটা সহজ হবে না পাকিস্তানের জন্য। এটা ভেবেই হয়ত শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করেন বাবর আজম ও ফখর জামান। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ দুই ডেলিভারিতে চার মেরে শুরুটা করেছিলেন বাবর। সমানতালে খেলার চেষ্টা করে গেছেন ফখরও। তাদের দুজনের দাপুটে ব্যাটিংয়ে ৬ ওভার শেষে পাকিস্তানের রান বিনা উইকেটে ৫৬। সপ্তম ওভারে এসে তাদের দুজনের জুটি ভাঙেন উইয়ান মুল্ডার।
ডানহাতি পেসারের লেংথ ডেলিভারিতে অন সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন বাবর। তবে মুল্ডারের নিচু হওয়া ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন। দারুণ শুরু করা বাবরকে ফিরতে হয় ২৩ রানে। পাওয়ার প্লে শেষের আগে সাউদ সাকিলের উইকেট হারায় পাকিস্তান। কর্বিন বশের শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়েছেন ১৫ রান করা সাকিল। দুই উইকেট হারানোর পরও পাওয়ার প্লেতে ৯১ রান তোলে স্বাগতিকরা। ইনিংসের ১১তম ওভারে এসে ফখরের উইকেট হারায় তারা।

মুল্ডারের ষষ্ঠ স্টাম্পের শর্ট অব লেংথ ডেলিভারিতে খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে হেনরিখ ক্লাসেনকে ক্যাচ দিয়েছেন ২৮ বলে ৪১ রান করা ফখর। দলের রান একশ হওয়ার আগেই ৩ উইকেট হারানো পাকিস্তানের হয়ে জুটি গড়ে তোলেন রিজওয়ান ও সালমান। তাদের দুজনের ব্যাটে এগিয়ে যেতে থাকে তারা। শুরুতে একটু দেখেশুনে খেললেও পরবর্তীতে দ্রুত রান তোলায় মনোযোগ দেন দুজনই। হাফ সেঞ্চুরি পেতে রিজওয়ান ৬৪ এবং সালমান খেলেছেন ৫১ বল। পঞ্চাশকে একশতে রূপ দিয়েছেন পাকিস্তানের দুই মিডল অর্ডার ব্যাটার।
কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে হারিয়ে সেমিতে এক পা ভারতের
৬ ঘন্টা আগে
মুল্ডারের বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মেরে ১০৬ বলে সেঞ্চুরি করেন রিজওয়ান। ওয়ানডেতে এটি তার চতুর্থ এবং রান তাড়ায় তৃতীয় সেঞ্চুরি। একই ওভারে একশ ছুঁয়েছেন আরেক ব্যাটার সালমানও। ডানহাতি ব্যাটার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন ৮৭ বলে। প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে একই ইনিংসে পাকিস্তানের দুই মিডল অর্ডার ব্যাটার সেঞ্চুরি করেছেন। তাদের দুজনের ২৬০ রানের জুটি ভেঙেছে ১৩৪ রান করা সালমানের বিদায়ে। তবে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন ১২২ রানে অপরাজিত থাকা রিজওয়ান।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে সাউথ আফ্রিকাকে ভালো শুরু এনে দেন টনি ডি জর্জি ও বাভুমা। তাদের দুজনের ব্যাটে উদ্বোধনী জুটিতে ৫১ রান তোলে তারা। ২২ রান করা ডি জর্জির বিদায়ে ভাঙে তাদের জুটি। তিনে নেমে অধিনায়ক বাভুমাকে সঙ্গ দিতে থাকেন ব্রিটজকে। ৯ চারে ৫৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বাভুমা। জুটির একশ পেরিয়ে যাওয়ার পর উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। সাকিলের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হয়ে ফেরেন সাউথ আফ্রিকার অধিনায়ক।
সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপের দিনে ৮২ রান করেছেন বাভুমা। তাকে সঙ্গ দেয়া ব্রিটজকে আউট হয়েছেন ৮৩ রানের ইনিংস খেলে। পরবর্তীতে ক্লাসেন ও কাইল ভেরেইনা মিলে সাউথ আফ্রিকাকে টেনে নিয়ে যান। ক্লাসেন ৮৭ রান করে ফিরলেও ভেরেইনা অপরাজিত ছিলেন ৪৪ রানে। তাদের চার জনের ব্যাটে ৩৫২ রানের পুঁজি পায় সাউথ আফ্রিকা। স্বাগতিক পাকিস্তানের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। একটি করে উইকেট শিকার করেছেন নাসিম শাহ ও খুশদিল শাহ।