ফিলিপস ঝড়ে পাকিস্তানকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি শুরু কিউইদের

ছবি: অপরাজিত ১০৬ রানের ইনিংস খেলার পথে গ্লেন ফিলিপস, ফাইল ফটো

লাহোরে ফিলিপসের সেঞ্চুরিতে ভর করে ছয় উইকেটে ৩৩০ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ২৫২ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি নিউজিল্যান্ডের। শাহীন শাহ আফ্রিদির প্রথম ওভারের কট বিহাইন্ড হন চার রান করা উইল ইয়াং।
পাকিস্তানের সঙ্গে খেলাই উচিত নয়: গম্ভীর
১৪ ঘন্টা আগে
রাচিন রবীন্দ্র ঝড়ো সূচনা করেও বেশিদূর যাননি। ১৯ বলে ২৫ রান করে আবরার আহমেদের বলে কট এন্ড বোল্ড হন তিনি। এরপর দলটি প্রতিরোধ গড়ে কেন উইলিয়ামসন ও ড্যারিল মিচেলের জুটিতে। এই জুটিতে ৯৫ রান তোলে কিউইরা।
সাতটি চারে ৮৯ বলে ৫৮ রান করা উইলিয়ামসনকে কট বিহাইন্ড করে ফেরান আফ্রিদি। তারপরের ওভারেই শূন্য রানেই টম লাথামকে ফেরান হারিস রউফ। ১৩৫ রানে চার উইকেট হারায় কিউইরা। দলটিকে এরপর পথ দেখান ফিলিপস।

ড্যারিল মিচেল শুরুতে তাকে দারুণ সঙ্গ দেন। ৫৪ রানের জুটি গড়েন এই দুজন। ৮৪ বলে মিচেল ৮১ রানে ফিরে যান। আবরারের শিকার হন তিনি। ৬৫ রানের জুটিটি ভাঙলে মাইকেল ব্রেসওয়েলের সঙ্গে ৫৪ রানের জুটি গড়েন ফিলিপস।
বাংলাদেশের কাজ সহজ করে দিয়েছেন খালেদ-শরিফুলরা
৫ মে ২৫
২৩ বলে ৩১ রান করে ব্রেসওয়েল ফিরে গেলে মিচেল সান্টনারের সঙ্গে ২৬ বলে ৭৬ রানের জুটি গড়েন ফিলিপস। এই অবিছিন্ন জুটিতে কেবল আট রান আসে সান্টনারের ব্যাটে! ৭৪ বলে ছয়টি চার ও সাতটি ছক্কায় ১০৬ রানে অপরাজিত থাকেন ফিলিপস।
রান তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। কেবল ফখর জামান একাই যা একটু লড়াই করেন। ৬৯ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। অন্য প্রান্তে তেমন কিছু করতে পারেননি বাবর আজম, কামরান গুলাম ও রিজওয়ানের মতো ব্যাটাররা।
বাবর ১০, কামরান ১৮ ও রিজওয়ান করেন তিন রান। মাঝের দিকে সালমান আঘা ৪০ এবং তৈয়ব তাহির ৩০ রান করেন। কিন্তু দলকে জেতানোর জন্য এই ইনিংসগুলোর কোনোটিই যথেষ্ট ছিল না।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৩ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। কিউইদের হয়ে ৪১ রান করচায় তিন উইকেট নেন অধিনায়ক সান্টনার। পেসার ম্যাট হেনরিও নেন তিন উইকেট, তিনি খরচা করেন ৫৩ রান।