বুমরাহর সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে ‘শিক্ষা’ হয়েছে কনস্টাসের

ছবি: সিডনি টেস্টে তর্কে জড়িয়েছিলেন স্যাম কনস্টাস (বামে), জসপ্রিত বুমরাহ (ডানে)

এমন অবস্থায় খাওয়াজার উপর বিরক্ত হয়ে উঠেন বুমরাহ। ঠিক তখনই বুমরাহকে কিছু একটা বলে বসেন নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা স্যাম কনস্টাস। অস্ট্রেলিয়ার তরুণ ওপেনারের কথায় মেজাজ ধরে রাখতে না পরে ক্ষিপ্ত হয়ে এগিয়ে যান বুমরাহ। ভারতের পেসারের দিকে এগিয়ে গেলেন কনস্টাস নিজেও। বুমরাহ হাত দিয়ে হয়ত বুঝানোর চেষ্টা করছিলেন ‘পারলে খাওয়াজাকে ব্যাটিং করতে বলো।’
বুমরাহর অধিনায়কত্ব নেয়ার পথে বাধা ছিল ‘ওয়ার্কলোড’
১৮ জুন ২৫
তাদের দুজনের এমন পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন অনফিল্ড আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ। পরের বলে খাওয়াজাকে স্লিপে ক্যাচ বানিয়ে কনস্টাসের দিকে তেঁড়েফুঁড়ে যান বুমরাহ। তারকা এই পেসারের সঙ্গে ভারতের বাকি ফিল্ডাররাও তাঁর দিকে এগিয়ে যান। যদিও সেই সময় চুপচাপ ছিলেন কনস্টাস। সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার জানান, এটা তাঁর জন্য ভালো শিক্ষা।
কনস্টাস বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে আমি লড়াইটা উপভোগ করছিলাম। নিজের সর্বোচ্চটা উজাড় করে দিচ্ছিলাম। এটা আমার জন্য ভালো শিক্ষা। আমি আসলে সময় নষ্ট করার চেষ্টা করেছি, যাতে তারা আরও এক ওভার না করতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয়টা বুমরাহরই। অবশ্যই বুমরাহ বিশ্বমানের, সম্ভবত সিরিজে ৩২ উইকেট নিয়েছে। এমন ঘটনা যদি আবার ঘটে, সম্ভবত আমি আর কিছু বলব না।’

বিরাট কোহলির সঙ্গেও ঝামেলা লেগেছিল কনস্টাসের। যদিও সেখানে তাঁর খুব বেশি দোষ ছিল না। সিরাজের বলে সিঙ্গেল নিয়ে হাতের গ্লাভস খুলতে খুলতে অন্য প্রান্তের ব্যাটার উসমান খাওয়াজার দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন কনস্টাস। এমন সময় উল্টো দিক থেকে বল হাতে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় অনেকটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই অভিষিক্ত ওপেনারকে ধাক্কা দেন বিরাট কোহলি।
পান্তের রেকর্ডের দিনে পোপের সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের জবাব
৬ ঘন্টা আগে
অজি এই ব্যাটার চোখ রাঙিয়ে সঙ্গে সঙ্গে কিছু একটা বলেন কোহলিকে। ক্রিকেট মাঠে বরাবরই আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে থাকা কোহলিও চুপ থাকেননি। কথার লড়াইয়ে সামিল হন দুজনই। শেষমেষ আরেক অজি ওপেনার খাওয়াজা এবং অনফিল্ড আম্পায়ারের প্রচেষ্টায় থামানো হয় তাদের দুজনকে। যদিও ম্যাচ শেষে কথা বলেছেন কনস্টাস ও কোহলি।
সেই ঘটনা নিয়ে কনস্টাস বলেন, ‘ম্যাচ শেষে কোহলির সঙ্গে কথা হয়েছিল। তাকে যে আমি আদর্শ মানি, সেটা বলেছিলাম। তার বিপক্ষে খেলা অনেক সম্মানের। যখন কোহলি ব্যাটিং করছিল, আমি বলছিলাম ‘‘ওয়াও কোহলি ব্যাটিং করছে।” সব ভারতীয় দর্শক তার নামে স্লোগান দিচ্ছিল। এটা পরাবাস্তব অনুভূতি। সে বিনয়ী মানুষ। দারুণ একজন, আমাকে শুভকামনা জানিয়ে বলেছে, শ্রীলঙ্কা সফরে থাকলে যেন ভালো করি। আমার পুরো পরিবার তাকে পছন্দ করে, ছোটবেলা থেকে তাকে আদর্শ মানি, সে কিংবদন্তি।’