তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে হাবিবুর রহমান সোহান, মুশফিক হাসান ও শাহাদাত হোসেন দিপু আছেন। ফলে একাদশে জায়গা পেতে কঠিন লড়াই করতে হতে পারে অঙ্কনকে। তবে সুযোগ পেলে নিজেকে উজাড় করে দিতে চান অঙ্কন। জাতীয় দলের ভাবনা মাথায় থাকলেও যেকোনো পজিশনেই খেলতে প্রস্তত তিনি।
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে অঙ্কন বলেন, 'অবশ্যই প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ই চায় ভালো ক্রিকেট খেলে জাতীয় দলে খেলতে, জাতীয় দলের হয়ে ভালো খেলতে। আমারও অবশ্যই লক্ষ্য আছে, আমি দলের হয়ে যেখানে যে পজিশনে সুযোগ পাই আমি যাতে অবদান রাখতে পারি। আমার কাছে মনে হয় যে আমি যদি ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি অবশ্যই ইনশাআল্লাহ ভালো সুযোগ আসবে।'
পজিশন নিয়ে অঙ্কন আরও বলেন, 'আমরা যারা মিডল অর্ডার, লোয়ার অর্ডারে খেলি। যে কারোর পজিশন চেঞ্জ হতে পারে। তার কারণে আমরা আগে থেকেই যদি সেট করে রাখি যে আমি এই পজিশনে খেলব সেটা হবে না। কিন্তু আমাদের কথা হচ্ছে যে আমরা কোন পজিশনে কখন কে কোথায় আসলে নামবে, কে কোথায় কার কি প্ল্যান ওই অনুযায়ী খেলবে।'
দলটিতে আছেন মোহাম্মদ নবির মতো অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। সুযোগ পেলে তার কাছ থেকে অভিজ্ঞতা নিতে চান অঙ্কন। সেই লক্ষ্যের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, 'অবশ্যই অনেক কাজে লাগবে। সে (মোহাম্মদ নবি) অনেক বছর ধরে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলছে, বিপিএলও অনেক বছর খেলছে। আশা করছি যে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারবো দল হিসেবে।'
এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতোই দল গড়েছে নোয়াখালী। অঙ্কন মনে করেন তারা দল হিসেবে কতটা গোছানো ক্রিকেট খেলতে পারেন এর ওপরই নির্ভর করছে দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ভাগ্য। তাই প্রতিটি ম্যাচেই ভালো করার দিকে গুরুত্ব দিতে চান অঙ্কন।
তিনি বলেন, 'সবারই লক্ষ্য থাকে যে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় যে আমরা শুরু থেকে দল হিসেবে কতটা গুছানো ক্রিকেট খেলতে পারছি, কতটা সবাই পারফরম্যান্স করতে পারছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকটা ম্যাচ ভালো খেলাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।'
নোয়াখালী এক্সপ্রেস স্কোয়াড-
হাসান মাহমুদ, সৌম্য সরকার, জনসন চার্লস, কুশল মেন্ডিস, জাকের আলী, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, হাবিবুর রহমান সোহান, নাজমুল ইসলাম অপু, আবু হাশিম, মুশফিক হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু, রেজাউর রহমান রাজা, মেহেদি হাসান রানা, সৈকত আলী, সাব্বির হোসেন, ইহসানউল্লাহ, হায়দার আলি, মাজ সাদাকাত ও মোহাম্মদ নবী।