গত সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের বিদেশি টি-টোয়েন্টি লিগে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে সব ধরনের অনাপত্তিপত্র (এনওসি) অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে পিসিবি। যদিও অক্টোবরের শেষ নাগাদ এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে তারা। টি-টেন লিগ, ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টি খেলার জন্য নাসিম শাহ, ফখর জামানদের এনওসি দেয় দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।
এমনকি বাবর আজম, শাহীন আফ্রিদিদের মতো ক্রিকেটারদের বিগ ব্যাশ খেলার জন্যও ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এমন অবস্থায় পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের বিপিএল খেলা অবধারিত ছিল। বেশ কয়েক জন ক্রিকেটারদের ইতোমধ্যে দলও পেয়েছেন। চট্টগ্রাম রয়্যালসে খেলবেন আবরার আহমেদ। এ ছাড়া সিলেট টাইটান্সে সাইম আইয়ুব, রাজশাহী ওয়ারিয়র্সে সাহিবজাদা ফারহান-মোহাম্মদ নাওয়াজ খেলবেন।
ঢাকা ক্যাপিটালসের হয়ে খেলতে দেখা যাবে উসমান খানকে। অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কথা আছে রংপুর রাইডার্সের। তবে জানুয়ারিতে পাকিস্তানের শ্রীলঙ্কা সফর থাকায় বিপিএলের পুরো আসরে তাদের খেলা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। ৭ জানুয়ারি শুরু হওয়া তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হবে ১১ জানুয়ারি। পিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, ক্রিকেটারদের এনওসি আটকে রাখা হতে পারে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত।
সূত্রটি ক্রিকফ্রেঞ্জিকে বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার সাথে যেহেতু সিরিজ আছে স্বাভাবিকভাবেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ছেড়ে দেয়া হবে না। কারণ আমরা এটাকে বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দেখছি। তবে সিরিজ শেষে ক্রিকেটাররা চাইলে লিগ খেলতে পারে। তখন সবাইকে এনওসি দেয়া হবে। এটা শুধুমাত্র জাতীয় দলের স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের জন্য প্রযোজ্য হবে।’
তাদের বাইরে বিপিএলে দল পেয়েছেন ইহসানউল্লাহ, খাওয়াজা নাফে, হায়দার আলী, সুফিয়ান মুকিম, মোহাম্মদ আখলাক, মোহাম্মদ আমির, হুসাইন তালাত এবং ইমাদ ওয়াসিমরা। তাদের কেউই সবশেষ ত্রিদেশীয় সিরিজে না থাকায় বিপিএলের এনওসি পেতে সমস্যা হবে না। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করতে পারে পিসিবি। এদিকে ক্রিকেটাররা পুরো বিপিএলের অনুমতি না পেলে বিপাকে পড়তে হতে পারে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের।