ভয় লাগছিল, দুবাইয়ে আসার পর স্বস্তি ফিরেছে: রিশাদ
ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

লাহোর কালান্দার্সের হয়ে খেলতে রিশাদ ও পেশাওয়ার জালমির জার্সিতে খেলার জন্য পাকিস্তানে গিয়েছিলেন নাহিদ। টুর্নামেন্ট শেষ না হলেও ভারতের সঙ্গে সংঘাতের জেরে পিএসএল স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে পিসিবি। এমন অবস্থায় বিদেশি ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ বিমানে দ্রুতই দুবাইয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করে মহসিন নাকভির বোর্ড। শুক্রবার (৯ মে) রাতে রাওয়ালপিন্ডি ছাড়েন নাহিদ-রিশাদরা।
ফারুক ও নাফিসকে ধন্যবাদ দিলেন রিশাদ
৪ ঘন্টা আগে
তাদের দুজনের পাশাপাশি অন্য বিদেশি ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফরাও একই বিমানে রাওয়ালপিন্ডি ছেড়েছেন। বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে বিমান উড়াল দেয়ার মিনিট বিশেক পরই পাকিস্তানের তিনটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। যার একটি হচ্ছে রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমানঘাঁটি। এটি দেশটির সামরিক সদর দপ্তর।
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিমানঘাঁটিটি। যেখান থেকেই বিশেষ বিমানে করে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন পিএসএল খেলতে আসা বিদেশি ক্রিকেটাররা। দুবাইয়ে নামার পর এমন খবর শুনতে পেয়ে ভয় পেয়েছিলেন রিশাদ। তবে ভালোভাবে দুবাইয়ে পৌঁছাতে পারায় স্বস্তি ফিরেছে তাদের মনে।

ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে আলাপকালে রিশাদ বলেন, ‘তা তো অবশ্যই লাগছিল। ফ্লাইটটা উপভোগ করেছি এবং একটু ভয়ও ছিল। ফ্লাইট থেকে নামার পর যখন শুনেছি টেকঅফ করার ২০ মিনিট পরে মিসাইল পড়েছে এয়ারপোর্টে। শোনার পরে একটু খারাপ লাগছে এবং ভয়ও লাগছিল। দুবাই আসার পরে একটু স্বস্তি ফিরছে আলহামদুলিল্লাহ।’
কাল দেশে ফিরছেন রিশাদ-নাহিদ
১৯ ঘন্টা আগে
রিশাদের সঙ্গে একই ফ্লাইটে ছিলেন নাহিদ। পেশাওয়ারের হয়ে খেলার কথা থাকলেও অভিষেকের সুযোগ মেলেনি ডানহাতি পেসারের। ফলে কোনো ম্যাচ না খেলেই দেশে ফিরতে হচ্ছে নাহিদকে। পুরো ফ্লাইটের বেশিরভাগ সময়ই চুপচাপ ছিলেন তিনি। নিজে আত্মবিশ্বাসী থাকার পাশাপাশি নাহিদকেও সাহস দিয়েছেন রিশাদ।
নাহিদকে নিয়ে তরুণ এই লেগ স্পিনার বলেন, ‘নাহিদ রানা একটু চুপচাপ ছিল। আমি বুঝতেছিলাম মনে হয় একটু টেনশনে ছিল আরকি। আমি ওকে বলতেছিলাম টেনশন করার কিছু নাই। ইনশাআল্লাহ, কোন কিছু হবে না।’
লাহোরে রিশাদের দলের হয়ে খেলেছেন ড্যারিল মিচেল, টম কারান, সিকান্দার রাজা, স্যাম বিলিংস, কুশল পেরেরাে, ডেভিড ভিসার মতো ক্রিকেটাররা। ভারত ও পাকিস্তানের এমন পাল্টাপাল্টি হামলায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন তাদের সবাই। রিশাদ জানান, দুবাইয়ে নামার পর নিউজিল্যান্ডের মিচেল বলেছেন জীবদ্দশায় তিনি আর পাকিস্তানে যাবেন না।
রিশাদ বলেন, ‘আসলে বিদেশি যারা ছিল স্যাম বিলিংস, ড্যারিল মিচেল, কুশল পেরেরা, ডেভিড ভিসা এবং টম কারান। আমার মনে হয় ওরা এত আতঙ্কে ছিল যে এখনই যেতে পারলে বাঁচে আরকি। দুবাইয়ে নামার পরে ড্যারিল মিচেল বলছে আমি জীবনে আর পাকিস্তানে আসব না। এই পরিস্থিতিতে তো কখনই না। অনেক আতঙ্কে ছিল ওরা।’