রাচিনের ব্যাটে মুম্বাইকে হারিয়ে চেন্নাইয়ের শুভসূচনা

ছবি: হাফ সেঞ্চুরির পথে রাচিন রবীন্দ্র

মুম্বাইয়ের দেয়া ১৫৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১১ রানেই চেন্নাই হারায় ওপেনার রাহুল ত্রিপাঠির উইকেট। দ্বিতীয় উইকেটে রাচিন রবীন্দ্র ও অধিনায়ক রুতুরাজ যোগ করেন ৬৭ রান। আর তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় চেন্নাই। অবশ্য রুতুরাজ আউট হওয়ার পর শিমভ দুবে (৯), দীপক হুদা (৩) ও স্যাম কারান (৪) ফেরেন দ্রুতই।
অশ্বিনের চোখে বরুণই ছিলেন টুর্নামেন্ট সেরা
১১ মার্চ ২৫
অবশ্য অন্যপ্রান্তে নিয়মিত উইকেট গেলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেছেন রাচিন। রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে জুটি গড়ার পথে ৪২ বলে তুলে নিয়েছেন আইপিএলের এবারের আসরে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। যা তার আইপিএলে দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরিও। ষষ্ঠ উইকেটে তাকে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন জাদেজা। এই দুজনের ৩৬ রানের জুটি ভেঙেছে অনাকাঙ্খিত রান আউটে।
জাদেজা ফিরেছেন ১৮ বলে ১৭ রান করে। এরপর চেন্নাইকে আর কোনো বিপদ হতে দেননি রাচিন ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। রাচিন শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে ৬৫ রান করে অপরাজিত থেকে চেন্নাইকে ম্যাচ জিতিয়ে এসেছেন। তার ইনিংস জুড়ে ছিল ৪টি ছক্কা ও দুটি চারের মার। মুম্বাইয়ের হয়ে একাই এদিন ৩ উইকেট নেন ভিগ্নেশ পুথুর। আর একটি করে উইকেট পেয়েছেন রাহুল চাহার ও উইল জ্যাকস।

এর আগে এই ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় চেন্নাই। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি মুম্বাইয়ের। প্রথম তিন বলে নেই কোনো রান। পরের বলে মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন রোহিত শার্মা। আইপিএলের এবারের আসরের শুরুতে রানের খাতা খুলতে পারলেন না মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের এই ব্যাটসম্যান। তার নাম উঠে গেল অনাকাঙ্ক্ষিত এক রেকর্ডে। গ্লেন ম্যাকওয়েল ও দীনেশ কার্তিকের পর তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে ১৮তমবারের মতো শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ড গড়লেন।
নূর আহমেদ চেন্নাইয়ের ‘এক্স-ফ্যাক্টর’: রুতুরাজ
২৪ মার্চ ২৫
রোহিতের ব্যর্থতার পর মুম্বাইয়ের আর কোনো ব্যাটারই দাঁড়াতে পারেননি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৫ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলেছেন তিলক ভার্মা। ২৬ বলে ২৯ রান করে আউট হয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। দীপক চাহার তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৫ বলে ২৮ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। আর তাতেই কোনো মতে দেড়শ পার করে আইপিএলের অন্যতম সফল এই দলটি।
মুম্বাইয়ের আর কোনো ব্যাটারই বিশের কোটা পার হতে পারেননি। পেসার খলিল আহমেদ ও স্পিনার নূর আহমেদ মিলে মুম্বাইয়ের ইনিংসে ধস নামিয়েছিলেন। এই দুই বোলার মিলেই নিজের ৭ উইকেট। এর মধ্যে ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন নূর। আর ২৯ রানে ৩ উইকেট খলিলের। বাকি দুটি উইকেট ভাগাভাগি করে নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও ন্যাথান এলিস।