চিটাগংয়ের কাছে এখনও ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক পাওনা শরিফুল-ইমনদের

ছবি: চিটাগং কিংস

বিপিএলের নিয়ম অনুযায়ী টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছ থেকে তাদের পাওনা টাকার ৫০ শতাংশ পাওয়ার কথা ক্রিকেটারদের। অথচ কোনো টাকা না দিয়েই বিপিএলের ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন চিটাগংয়ের খেলোয়াড়রা। বাকি ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজির ক্রিকেটাররাও টুর্নামেন্ট শুরুর আগে নিয়ম অনুযায়ী পারিশ্রমিক পাননি। তবে দুর্বার রাজশাহী ও চিটাগং বাদে বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিরা বিপিএল চলাকালীন কয়েক দফায় পারিশ্রমিক নিশ্চিত করেছেন।
পারভেজ ইমনের সেঞ্চুরিতে আবাহনীর বড় জয়
৬ মার্চ ২৫
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ৫০ শতাংশ, টুর্নামেন্ট চলাকালীন আরও ২৫ শতাংশ এবং বাকি ২৫ শতাংশ টাকা দিতে হবে টুর্নামেন্ট শেষে। এমন নিয়ম থাকলেও চিটাগংয়ের হয়ে খেলা শরিফুল, ইমনরা এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক পেয়েছেন। মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইমন বলেন, ‘৫০ শতাংশ পেয়েছি, বাকিটা এখনও পাইনি। বলতেছে দেবে দেবে, আমরা এখনও পাচ্ছি না। আমি, শরিফুল, আসলে সব খেলোয়াড়ই... যা পেয়েছি বিপিএল চলাকালীনই পেয়েছি।’

টুর্নামেন্ট চলাকালীন পারিশ্রমিক নিয়ে চিন্তা করলে তা পারফরম্যান্সে ব্যঘাত ঘটে বলে জানান ইমন। বাঁহাতি এই ওপেনার বলেন, ‘আসলে সবসময় আমাদের মনোযোগ থাকে পারফরম্যান্সের দিকে। আমাদের পরিকল্পনা থাকে আরও কীভাবে পারফর্ম করব। আমাদের তখন যদি চিন্তা করতে হয় পারিশ্রমিক নিয়ে যে পাচ্ছি না। এটা আসলে মনোযোগে ব্যঘাত ঘটায়।’
ফাইনালে আলিসকে না পাওয়ার আক্ষেপ মিঠুন, খালেদের
৭ ফেব্রুয়ারি ২৫
ক্রিকেটারদের মতো শুভেচ্ছাদূত হিসেবে আনা শহীদ আফ্রিদির সঙ্গেও পারিশ্রমিক নিয়ে ঝামেলা পাকিয়েছে চিটাগং। বিপিএলের সবশেষ আসরে মাঠের বাইরে সবচেয়ে বড় তারকা ছিলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে চিটাগংয়ের সঙ্গে দিয়ে মাঠে বসে ম্যাচ দেখেছেন তিনি। আফ্রিদির সঙ্গে ১ লাখ ডলার চুক্তি করলেও পুরো পারিশ্রমিক পরিশোধ করেনি ফ্র্যাঞ্চাইজি।
মাত্র ১৯ হাজার ডলার দেয়ার পর বাকিটা পেতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে চিঠিও লিখেছেন আফ্রিদি। তবে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ কদিন আগে জানিয়েছেন, এটার দায়ভার তারা নেবেন না। ফারুক বলেন, ‘বোর্ডের দিক থেকে আমরা কোনোভাবে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত নই। ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে ড্রাফটের খেলোয়াড়দের চুক্তিতে বোর্ডের সংশ্লিষ্টতা থাকে। ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কোন দল কাকে কীভাবে আনছে, সেটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যাপার।’