বিপিএলের সবশেষ আসরে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে খেলেছিলেন শান্ত। তবে ব্যাটে-বলে পারফর্ম করতে না পারায় তাকে রিটেইন করেনি ২০২৩ সালের রানার্স আপরা। ফলে দল পেতে ড্রাফটে যেতে হয় বাঁহাতি ব্যাটারকে। কয়েক রাউন্ড যাওয়ার পর ৬০ লাখ টাকার ক্যাটাগরি থেকে শান্তকে দলে নেয় বরিশাল। এখন পর্যন্ত বিপিএলের চলমান আসরে ১১ ম্যাচের ৯টিতে জিতে পয়েন্ট টেবিলে সবার উপরে তারা।

আরো পড়ুন

প্লে অফে চিটাগং, হার দিয়ে বিপিএল শেষ সিলেটের

৪ ঘন্টা আগে

অথচ তাদের হয়ে শান্ত খেলতে পেরেছেন মাত্র ৫টি ম্যাচে। বাংলাদেশের টেস্ট এবং ওয়ানডে অধিনায়কের একাদশে সুযোগ না পাওয়া অবিশ্বাসই বটে। এ ছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে শান্তর ম্যাচ খেলতে না পারা দেশের ক্রিকেটের জন্যও শঙ্কা জাগাচ্ছে বলে ধারণা অনেকের। শান্তকে একাদশে সুযোগ দিতে না পারাকে দুর্ভাগ্যজনক বলছেন তামিম। বরিশালের অধিনায়ক নিজেও স্বীকার করছেন, তাকে যতটা সুযোগ দেয়া উচিত ছিল সেটা তারা দিতে পারেননি। 

এ প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমাকে স্বীকার করতেই হবে, ওকে যতটা খেলানো উচিত ছিল বা সুযোগ দেয়া উচিত ছিল, আমরা দিতে পারছি না। কারণ, আমার দল যদি দেখেন, আমাদের কম্বিনেশন মেলাতে খুব কঠিন হচ্ছে। এমনকি প্রথম তিন-চার ম্যাচে কম্বিনেশন মেলাতেই পারিনি ঠিকমতো। তারপরও তাকে প্রথম দিকে খেলানোর চেষ্টা করেছি।’

পাঁচটি ম্যাচে সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি শান্ত। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৪১ রানের ইনিংস খেলা ছাড়া বলার মতো কিছুই করতে পারেননি তিনি। ১১.২০ গড় ও ১১৯.১৫ স্ট্রাইক রেটে সবমিলিয়ে ৫৬ রান করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এ ছাড়া জাতীয় দলের হয়েও টি-টোয়েন্টিতে ছন্দে নেই শান্ত। যদিও তামিম জানিয়েছেন, পারফরম্যান্স না করার কারণে তাকে বাদ দেয়া হয়েছে ব্যাপারটা এমন নয়। 

আরো পড়ুন

খুশদিলকে মিস করবে রংপুর

৫ ঘন্টা আগে

বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ডানহাতি এবং বা’হাতি কম্বিনেশনের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। বর্তমানে ওপেনিংয়ে তামিমের সঙ্গী ডানহাতি ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়। তিন নম্বরে খেলছেন বাঁহাতি ডেভিড মালান। অর্থাৎ টপ অর্ডারে তিন ব্যাটারের দুজন বাঁহাতি এবং একজন ডানহাতি। আর শান্তকে খেলালে তখন তিনজনই বাঁহাতি হবে। এমনটা করে প্রতিপক্ষকে বাড়তি সুযোগ দিতে চান না তামিম।

তিনি বলেন, ‘সে পারফরম্যান্সের কারণে বাইরে বসে নেই, এটা নিশ্চিত। কারণ রংপুরের বিপক্ষে খুব ভালো একটি ইনিংস খেলেছে। স্রেফ কম্বিনেশনের কারণে ওকে জায়গা দিতে পারছি না। ওকে কোন জায়গায় ব্যাটিং করাব...। বাঁ হাতি, ডান হাতি একটা ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়। আমি চাই না তিনজন বাঁহাতি পরপর ব্যাটিং করুক। এটা একটা ইস্যু। আরও অনেক কিছু কারণ আছে, মনে হয় না এখানে আমার সবকিছু বলার দরকার আছে।’

একাদশ না থাকার পরও দলের প্রতি শান্তর অ্যাটিটিউড নিয়ে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তামিম। বরিশালের অধিনায়ক বলেন, ‘আমাকে অবশ্যই বলতে হবে, দলের প্রতি ওর ‘অ্যাটিটিউড’ দারুণ। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক, দেশের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন, কিন্তু ঘরোয়া একটি টুর্নামেন্টে, ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পাচ্ছে না। কিন্তু দলের সিনিয়র-জুনিয়রদের প্রতি ওর মানসিকতা পুরোপুরি দুর্দান্ত এবং এটার দারুণ প্রশংসা করি আমি।’