৫-৬ দল নিয়ে অক্টোবর-নভেম্বরে বিপিএল চান তামিম
ছবি: ম্যাচ জিতে সংবাদ সম্মেলনে তামিম ইকবাল
২০২৪ সালে প্রথমবারের মতো চালু হওয়া মেজর লিগ ক্রিকেটও (এমএলসি) ফ্র্যাঞ্চাইজি বাড়ানোর সংখ্যা বাড়ানোয় বিভোর। অথচ সাত দল নিয়ে চলতে থাকা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফ্র্যাঞ্চাইজি সংখ্যা কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন তামিম ইকবাল। টুর্নামেন্টের মান বাড়াতে, প্রতিযোগিতা বাড়াতে এবং বিতর্ক এড়াতে ৫ কিংবা ৬ দল নিয়ে বিপিএল আয়োজন করতে বলছেন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক।
প্লে অফে চিটাগং, হার দিয়ে বিপিএল শেষ সিলেটের
৩ ঘন্টা আগেআইপিএলের সাজানো ফরম্যাটে ২০১২ সালে বিপিএল চালু করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। টুর্নামেন্টের প্রথম আসরে অংশ নিয়েছিল ছয়টি দল। সেবার দুরন্ত রাজশাহী, খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলস, ঢাকা গ্লাডিয়েটর্স, বরিশাল বার্নাস, চিটাগং কিংসের সঙ্গে ছিল সিলেট রয়্যালস। পরের বছর নতুন করে যুক্ত হয় রংপুর রাইডার্স। তখন দলের সংখ্যা ছয় থেকে বেড়ে দাঁড়ায় সাতে। তবে মোহাম্মদ আশরাফুল ও গ্লাডিয়েটর্সের ফিক্সিং কাণ্ডে ২০১৪ সালে হয়নি বিপিএল।
এক বছর বিরতি দিয়ে ২০১৫ সালে আবারও মাঠে গড়ায় ২০ ওভারের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটি। চিটাগং কিংস সরে যাওয়ায় চিটাগং ভাইকিংস নামে বিপিএলে অংশ নেয় বন্দর নগরী। সেই আসরে খুলনা অংশগ্রহণ না করলেও সেবার নতুন করে যুক্ত হয় নাফিসা কামালের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ঢাকা গ্লাডিয়েটর্স নিষিদ্ধ হওয়ায় ‘জিতবে ঢাকা দেখবে দেশ’ এমন স্লোগান নিয়ে নতুন মালিকানায় দেশের টুর্নামেন্টে যুক্ত হয় ঢাকা ডায়নামাইটস।
২০১৬ সালে চতুর্থ আসরে খুলনা বিভাগ বিপিএলে ফেরে জেমকন গ্রুপের অধীনে খুলনা টাইটান্স নামে। সেই আসরে অবশ্য অংশগ্রহণ করেনি সিলেটের কোনো দল। ২০১৭ সালে সিলেট সিক্সার্স ফিরলেও বাদ যায় বরিশালের ফ্র্যাঞ্চাইজি। ২০১৮-১৯ মৌসুমে সাতটি, ২০১৯-২০ বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সাতটি, ২০২১-২২ মৌসুমে ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি অংশ নেয়। বিরতি দিয়ে ২০২৩ সালে বিপিএলে ফেরে বসুন্ধরা গ্রুপের রংপুর রাইডার্স।
সবশেষ দুটি এবং চলমান মৌসুম হচ্ছে সাতটি দল নিয়ে। তবে প্রতি বছরই একটি কিংবা দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি পরিবর্তন হতে দেখা যায়। ঢাকা ডায়নামাইটস সরে যাওয়ার পর খেলতে দেখা গেছে ঢাকা প্লাটুন, ঢাকা ডমিনেটর্স, দুর্দান্ত ঢাকা এবং ঢাকা ক্যাপিটালসের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। যাদের বেশিরভাগই টুর্নামেন্টের মান বাড়ানোর চেয়ে কমিয়ে গেছেন। চলতি বিপিএলে দুর্বার রাজশাহীও একই কাজ করেছে।
খুশদিলকে মিস করবে রংপুর
৩ ঘন্টা আগেবছর চারেক পর রাজশাহীর কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি বিপিএলে ফিরলেও নিজেদের সুনাম ধরে রাখতে পারেনি। বরং ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক দিতে না পরে মাঠের বাইরে একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। বেশি দল খেললে বেশি দেশি ক্রিকেটার সুযোগ পান এমন ভাবনা থেকেই প্রায়শই দল বাড়ানোর চেষ্টায় থেকেছে বিসিবি। তবে তামিম মনে করেন, দল কমলে প্রতিযোগিতা বাড়বে এবং সুযোগের জন্য ক্রিকেটারদের ভালো করার ক্ষুধা বাড়বে।
দলের সংখ্যা কমানো নিয়ে তামিম বলেন, ‘পিএসএলে আমাদের চেয়ে অনেক বেশি বিদেশি খেলতে যায়। অথচ পিএসএলে দল ছিল পাঁচটি। ওখানে ক্রিকেট কোয়ালিটি এতটাই ভালো। আমরা ৭-৮টি দিয়ে শুরু করেও… খেলোয়াড়রা বলতে পারে দল বেশি থাকলে লোকাল প্লেয়ারদের খেলার সুযোগ বাড়ে। তবে দল কম হলে প্রতিযোগিতাও তো বাড়ে। এনসিএল, ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করার ক্ষুধা বাড়বে। আমার মতে ৬ দলের বেশি হওয়া উচিৎ নয়। ৫ দল হলে ভালো হয়।’
একটা সময় অক্টোবর-নভেম্বরের দিকে বিপিএল হলেও জাতীয় দলের খেলার কারণে সেটা সরিয়ে নিয়ে আসা হয় জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে। পরবর্তী সময়ে ওই উইন্ডোতেই হয়ে আসছে বিপিএল। তবে সবশেষ তিন বছরে একই সময়ে ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টি এবং এসএ-২০ লিগের মতো টুর্নামেন্ট হওয়ায় বিদেশি ক্রিকেটারের সংকটে পড়তে হচ্ছে বিপিএলকে। বিদেশি ক্রিকেটার না কমিয়েছে এমন সমস্যা সমাধানে সূচি পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন তামিম।
সেই সময় আবুধাবি টি-টেন কিংবা ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) মতো টুর্নামেন্ট হলেও জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মতো সংকটে পড়তে হবে না বলে মনে করেন বরিশালের অধিনায়ক। দুটি লিগের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ার চেয়ে একটি লিগের সঙ্গে হওয়া ভালো বলে ধারণা তার। তামিম বলেন, ‘দুই বিদেশি না, আমার মতে চার বিদেশিই ঠিক আছে। আমার মনে হয় বিপিএলের প্রথম সূচি ছিল অক্টোবর-নভেম্বরের দিকে।’
‘এটা ভালো সময় ছিল। এ সময় এসএ-টোয়েন্টি ও আইএলটি-টোয়েন্টি এই দুই মেজর লিগের সাথে সাংঘর্ষিক হবে না। একবার সূচি পরিবর্তন হয় বাংলাদেশ দলের খেলা থাকায়। এছাড়া ঐ সময়েই হতো। কারণ তখন তেমন খেলা থাকে না। তখন শুধু হয়ত আবুধাবি টি-টেন। একটা টুর্নামেন্টের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়া দুটার চেয়ে ভালো।’