টাকা নিয়ে দরজায় কড়া নাড়লেও কেউ দরজা খোলেনি: তাসকিন
ছবি: বোলিংয়ের সময় তাসকিন আহমেদ, ক্রিকফ্রেঞ্জি
পারিশ্রমিকের চেক বুঝে পেয়ে তখনই ম্যাচ খেলতে মিরপুরের উদ্দেশ্যে টিম বাসে উঠেন রাজশাহীর ক্রিকেটাররা। তবে তাসকিন-বিজয়দের সঙ্গে টিম বাসে দেখা যায়নি রায়ান বার্ল-মোহাম্মদ হারিসদের মতো বিদেশি ক্রিকেটারদের। তখনই আঁচ পাওয়া গিয়েছিল কিছু একটা ঘটতে চলেছে। সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে রংপুর ও রাজশাহীর টসের সময়।
খুলনার প্লে অফের পথ কঠিন করে রংপুরের আরও কাছে বরিশাল
২ ঘন্টা আগেদলটির অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ জানালেন, তারা এই ম্যাচে কোনো বিদেশি ক্রিকেটার ছাড়াই খেলতে নামছেন। পরে জানা যায় বিদেশি ক্রিকেটাররা না আসায় বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের টেকনিক্যাল কমিটির কাছে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষ শুধু স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে ম্যাচ খেলার অনুমতি চেয়েছিল।
বিপিএলের নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচে অন্তত ২ জন বিদেশি ক্রিকেটার খেলাতেই হবে। তবে রাজশাহীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিপিএলের টেকনিক্যাল কমিটিকে সে নিয়মের বাইরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিসিবি জানায় প্লেয়িং কন্ডিশনের ১.২.৮ ধারা অনুযায়ী টেকনিক্যাল কমিটি তাদের সে অনুমোদন দিয়েছে। এদিকে ম্যাচের আগে নানা আলোচনা থাকলেও রাজশাহী ১১ দেশি ক্রিকেটার নিয়েই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ম্যাচে রংপুরকে হারিয়ে দিয়েছে ২ রানের ব্যবধানে।
এই জয়ের ফলে প্লে অফের আশা বেশ ভালোভাবেই বাঁচিয়ে রেখেছে তাসকিনের দল। যদিও এখনও বাকি আছে নানা হিসেব নিকেশ। তবে ম্যাচ জিতে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন তাসকিন। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন টাকা নিয়ে বিদেশি ক্রিকেটারদের দরজায় কড়া নাড়লেও সেই ক্রিকেটাররা কোনো সাড়া দেননি। এ কারণেই বাধ্য হয়ে তাদের ১১ দেশি ক্রিকেটার নিয়েই খেলতে হয়েছে।
রাজশাহীর বিদেশিদের চেয়ে দেশিরাই ভালো ছিল: আশরাফুল
৮ ঘন্টা আগেসংবাদ সম্মেলনে তাসকিন বলেছেন, ‘আজকে দিনের শুরু থেকেই অনেক ড্রামা দেখেছি আমরা প্লেয়াররা। শেষের দিকে আমি যতটুকু শুনেছি যে টাকা নিয়েও বিদেশি ক্রিকেটারদের রুমে কড়া নাড়া হয়েছে। কেউ দরজা খুলেনি। শেষ মুহূর্তে আমরা স্থানীয় প্লেয়াররাই ছিলাম। শুরুতে সবাই একটু হতাশ ছিল। আমরাও ছিলাম। যখন ১২০ রান হয়েছে এবং আমরা ব্যাটিং করে দেখলাম এতো সহজ না আজকের উইকেটটা। হয়তো ১৫-২০ রান কম ছিল কিন্তু টিম এফোর্ট এবং দলের সবার চেষ্টার ফল আমরা শেষে পেয়েছি।’
এবারের বিপিএলে নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে তাসকিনের। ম্যাচের দিক সকালেই বদলাতে হয়েছে হোটেল। কিছুক্ষণ পরই খবর পান বিদেশি ক্রিকেটাররা খেলবেন না। এরপর বোর্ডের বার্তা পেয়ে দেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে মাঠে আসেন তাসকিন। এরপর তাদের নিয়েই নেমে পড়তে হয় বাঁচা মরার ম্যাচে।
তাসকিন বলেন, ‘আমার জীবনে নতুন একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে ম্যাচের দিন... আমি যতটুকু শুনেছি আমাদের নাকি বুকিং দেয়া ছিল শেরাটনে। পরে ওয়েস্টিনে ছিল। ...ওয়েস্টিনে সব রুম বুক হয়ে গেছে। পরে আমরা হোটেল পরিবর্তন করেছি। পরিবর্তনের পর ২ ঘণ্টা আগে জানি যে বিদেশি কেউ যাবে না। তখন বোর্ড থেকে ফোন দিয়ে বললো যে তোমরা আসো। অন্তত খেলো। বিদেশি ক্রিকেটারদেরও ফোন করা হয়েছিল বোর্ড থেকে। পেমেন্ট ব্যাপার না। এটা হয়ে যাবে। তাও তারা আসেনি।’