ঝড়ো ইনিংস খেলার কৃতিত্ব মাহমুদউল্লাহকে দিচ্ছেন রিশাদ
ছবি: গণমাধ্যমে কথা বলছেন রিশাদ হোসেন, ক্রিকফ্রেঞ্জি
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮৭ রানের মধ্যে ছয় উইকেট হারায় বরিশাল। এরপর মাহমুদউল্লাহ এবং রিশাদের ব্যাটিংয়েই ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। এই দুজন ২৮ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন। ৪৫ বলে ৫০ রান করে মাহমুদউল্লাহ ফিরে গেলেও রিশাদ ছিলেন শেষ ওভার পর্যন্ত।
গ্লোবাল সুপার লিগের হাত ধরে পিএসএলে রিশাদ, লাহোরের ধন্যবাদ
১৮ জানুয়ারি ২৫১৯.৫ ওভারে যখন তিনি আউট হন তখন তার নামের পাশে ১৯ বলে ৩৯ রানের ঝকঝকে ইনিংস। যা সাজানো ছিল পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায়। তার এমন ইনিংসে ৯ উইকেটে ১৬৭ রান তোলে বরিশাল।
ম্যাচ শেষে নিজের ইনিংস নিয়ে রিশাদ বলেন, 'নিজের প্রতি ধৈর্য্য ও বিশ্বাস রেখেছিলাম। নিজের শক্তিমত্তার বাইরে যাইনি। চেষ্টা করেছি দলকে কীভাবে ব্যাটিংয়ে সাহায্য করা যায়। আমি শুধু নিজের পরিকল্পনায় ছিলাম। (মাহমুদউল্লাহ) রিয়াদ ভাই ছিলেন, অনেক সহায়তা করেছেন। তিনি বলছিলেন, নিজের শক্তিতে থাকতে, ভালো বল সম্মান দেখাতে এবং বাজে বল মেরে দিতে।'
'আসলে কোনো কিছু নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে যাইনি। রিয়াদ ভাই সঙ্গে ছিলেন। তিনি শুধু বলেছিলেন, কখন কী করতে হবে। তো এখানে আগের থেকে কী হবে না হবে, সেসব পরিকল্পনা করার কিছু নেই।'
বল হাতেও এ দিন সফল ছিলেন রিশাদ। ১৭ রান খরচায় অ্যালেক্স রসের গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি নিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া দারুণ ফিল্ডিংয়ে ফিরিয়েছেন দুই বলে দুই রান করা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে। সেই সময়ে অঙ্কনকে না ফেরালে ম্যাচের ফলাফল পাল্টাতে পারত খুলনা।
নিজের ফিল্ডিং নিয়ে রিশাদ বলেন, 'আসলে সীমানায় ফিল্ডিং করলে এরকম সুযোগ কয়েকটা আসে। (দৌড়ে) ধরে ফেলতে পেরেছি, এজন্য অ্যাডজাস্ট করে (থ্রো) মেরে দিয়েছি আর কী। এসবের জন্য ফিল্ডিং অনুশীলন একটু ভিন্ন হয়... আক্রমণাত্মক, যেহেতু সীমানায় ফিল্ডিং করি। স্লগ ওভারে সীমানায় ফিল্ডিং করলে একটু আক্রমণাত্মক ও আগ্রাসী থাকতে হয়।'