তাসকিনের অধিনায়কত্বে ৮০ রানে অল আউট রাজশাহী, হার ১১১ রানে
ছবি: ছবির মতই তাকিয়ে থাকা ছাড়া কিছু করার ছিল না তাসকিনের, ক্রিকফ্রেঞ্জি
টস জিতে অধিনায়ক তাসকিনের শুরুটা হয়েছিল ভালোভাবেই। অন্য সব ম্যাচের মতো দারুণ ছন্দে থাকা ডানহাতি পেসার ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। তাসকিন যতটা ভালো করেছে রাজশাহী ঠিক ততোটাই খারাপ করেছে। মিগুয়েল কামিন্স, মোহর শেখদের বাজে বোলিংয়ে চিটাগং ১৯১ রানের পুঁজি পায় চিটাগং। এমন লক্ষ্য তাড়ায় কে আগে ড্রেসিং রুমে ফিরবেন এমন প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন রাজশাহীর ব্যাটাররা।
আমাদের দল কিছুটা দুর্বল, মানসম্পন্ন খেলোয়াড়ের অভাব আছে: তাসকিন
১ ঘন্টা আগেমোহাম্মদ হারিস, জিসান আলম, ইয়াসির রাব্বিরা যেন দাঁড়াতেই পারলেন না। ১৯২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় রাজশাহীকে থামতে হয়েছে মাত্র ৮০ রানে। রায়ান বার্ল চোটে পড়ায় মোহরের বিদায়েই শেষ হয় রাজশাহীর ইনিংস। তাসকিনদের হারতে হয়েছে ১১১ রানের বড় ব্যবধানে। এমন জয়ে আবারও পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে চিটাগং। মোহাম্মদ মিঠুনরা পেছনে ফেলেছেন তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশালকে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ১৯২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি রাজশাহীর। ইনিংসের প্রথম ওভারে বিনুরা ফার্নান্দোর ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে মিড অফের উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন মোহাম্মদ হারিস। টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় দু’বারই ক্যাচ দিয়েছেন মিড অফে থাকা খালেদ আহমেদের হাতে। তবে একবারও সেটা লুফে নিতে পারেননি চিটাগংয়ের এই ফিল্ডার। হারিসকে ফেরাতে না পারলেও একই ওভারে জিসানের উইকেট নিয়েছেন বিনুরা।
বাঁহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের গুড লেংথ ডেলিভারিতে এজ হয়ে মিঠুনকে ক্যাচ দিয়েছেন জিসান। তরুণ ওপেনারকে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে একটি চার মেরেই। দুবার জীবন পেলেও সেটা একেবারেই কাজে লাগাতে পারেননি হারিস। পরের ওভারে আরাফাত সানিকে নিজের উইকেট দিয়ে গেছেন। সানির প্রথম দুই বলে দুই চার মারার পরের বলে উসমান খানকে ক্যাচ দিয়েছেন পাকিস্তানের এই ওপেনার।
রাজশাহীর হয়ে সবগুলো ম্যাচ খেললেও এখন পর্যন্ত বলার মতো কিছু করে দেখাতে পারেননি হারিস। চিটাগংয়ের বিপক্ষেও ফিরতে হয়েছে মাত্র ৯ রানে। প্রথম দুই ওভারের মতো তৃতীয় ওভারেও উইকেট হারিয়েছে রাজশাহী। শরিফুল ইসলামের দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় ইয়াসির আলী রাব্বি। ডানহাতি ব্যাটার আউট হয়েছেন মাত্র ৫ রানে। পাওয়ার প্লে শেষ হতেই সাজঘরের পথে হাঁটতে হয়েছে আকবর আলীকে। রাজশাহীর হয়ে সুযোগ পেলেও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি।
ম্যাচের আগে পারিশ্রমিক পাওয়ায় চাপহীন ছিলেন রাজশাহীর ক্রিকেটাররা
১৮ জানুয়ারি ২৫শরিফুলের বলে লেগ বিফোর হয়েছেন ১০ রান করা তরুণ এই উইকেটকিপার ব্যাটার। বাকিদের আসা-যাওয়ার মিছিলে এক প্রান্ত আগলে রাখার চেষ্টা করছিলেন বিজয়। তবে তাকে ইনিংস বড় করতে দেননি খালেদ। ডানহাতি পেসারের বলে মিঠুনকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। আগের ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে অপরাজিত সেঞ্চুরি করা বিজয় এবার আউট হয়েছেন ২১ রানে। সানজামুল ইসলাম, মার্ক দেয়ালরা ফিরেছেন ব্যর্থতার পাল্লা ভারী করে। ৫৯ রানে ৫ উইকেট হারানো রাজশাহী শেষ পর্যন্ত থেমেছে ৮০ রানে। চিটাগংয়ের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন নাঈম ইসলাম ও শরিফুল।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আরও একবার ব্যর্থ হয়েছেন উসমান। পাকিস্তানের ব্যাটার ফেরার পর চিটাগংয়ের হাল ধরেন নাঈম ও গ্রাহাম ক্লার্ক। তাদের দুজনের জুটি ভেঙেছে রান আউটে। মার্ক দেয়ালের বলে শর্ট থার্ডম্যান অঞ্চলে ঠেলে দিয়ে রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়েছেন ক্লার্ক। ছন্দে থাকা ইংলিশ ব্যাটারকে ফিরতে হয় ২৮ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে। একটু পর অবশ্য হাফ সেঞ্চুরি করেন নাঈম।
চিটাগংয়ের হাল ধরার পাশাপাশি ৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। যদিও পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। সানজামুলের আর্ম ডেলিভারিতে ফিরতে হয়েছে বোল্ড হয়ে। লম্বা সময় পর বিপিএলে হাফ সেঞ্চুরি করা নাঈম আউট হয়েছেন ৫৬ রানে। পরবর্তীতে মিঠুনের ৩২ এবং হায়দার আলীর ২৫ রানের ইনিংসে ১৯১ রানের পুঁজি পায় চিটাগং। রাজশাহীর হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন তাসকিন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
চিটাগং কিংস- ১৯১/৮ (২০ ওভার) (নাঈম ৫৬, ক্লার্ক ৪৫, মিঠুন ৩২; তাসকিন ২/২৩)
দুর্বার রাজশাহী- ৮০/১০ (১৪.২ ওভার) (হারিস ৯, জিসান ৪, ইয়াসির ৫, বিজয় ২১; শরিফুল ২/১০, নাঈম ২/৬)