‘আশেপাশের কিছু লোক ভালো হতে দিচ্ছে না’
ছবি: নিজের পুরনো সময়ের ঝলক দেখিয়েছে অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংস খেলেছেন সাব্বির রহমান, ক্রিকফ্রেঞ্জি
দুই বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ জাতীয় দলের বাইরে আছেন সাব্বির। গত বছরের মে মাসে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) পর থেকে স্বীকৃত ক্রিকেটে খেলেননি তিনি। গত বছরের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) তাকে দলে নিতে আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। তবে চলমান বিপিএলের আগে ড্রাফট থেকে সাব্বিরকে দলে নেয় ঢাকা।
দল পেলেও ঢাকা পর্বের প্রথম তিন ম্যাচে একাদশে সুযোগ মেলেনি ৩৩ বছর বয়সী এই ব্যাটারের। সিলেট পর্বে নিজেদের প্রথম খেলতে নামার আগে কোচ সুজনের কাছে জানতে চাওয়া হয় সাব্বিরকে না খেলানোর কারণ। এমন সময় সুজন জানান, প্রথম ম্যাচে দলের কম্বিনেশনের কারণেই বাদ পড়েছিলেন এক সময় জাতীয় দলের হয়ে খেলা এই ব্যাটার।
২ জানুয়ারি খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ডানহাতি ব্যাটারকে খেলানোর কথা ভেবেছিল ঢাকার টিম ম্যানেজমেন্ট। অথচ বছরের প্রথম দিনের অনুশীলনেই আসেননি সাব্বির। শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় শাস্তি হিসেবে খুলনার বিপক্ষে খেলানো হয়নি সাব্বিরকে। যদিও তাঁর দাবি, পারিবারিক সমস্যার কথা কোচকে বলেছিলেন তিনি। সাব্বিরের ধারণা, কোচ হয়ত বুঝতে পারেনি।
শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে সাব্বির বলেন, ‘ছোট থেকেই তো মানিয়ে নিচ্ছি সবকিছু মিলে। বড় হবো কীভাবে, নিজেকে কীভাবে সামলাবো। যেটা কোচের সাথে কথা হয়েছে আমার হয়ত কোচকে বলেছিলাম পারিবারিক সমস্যা ছিল। হয়তবা বুঝতে পারেনি কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে ভেতরের কথাগুলো প্রেসে না বলাই ভালো।’
পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে প্রায়শই বিভিন্ন বিতর্কের জন্য শিরোনাম হয়েছেন সাব্বির। মাঠে ও মাঠের বাইরে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগগুলো মানেন তিনি নিজেও। তবে সেগুলো থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে শোধরানোর চেষ্টা করছেন বলে জানান সাব্বির। যদিও ডানহাতি ব্যাটারের দাবি, আশেপাশের কিছু মানুষ তাকে ভালো হতে দিচ্ছে না।
সাব্বির বলেন, ‘যেহেতু সাব্বির রহমান, কিছু হলেই শৃঙ্খলার কথা চলে আসে। আমি চেষ্টা করছি ঠিক করার জন্য কিন্তু আশেপাশে কিছু লোক হয়তবা ভালো হতে দিচ্ছে না। পুশ করছে আমাকে। সত্যি বলতে এটা নিয়ে আমি খুব বেশি চিন্তিত না। আমার কাজ হচ্ছে খেলা, পারফর্ম করা সেটাই করছি ইনশাআল্লাহ।’