রাজশাহীকে গুঁড়িয়ে ১০৫ রানের বড় জয় চিটাগংয়ের

ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ
রাজশাহীকে গুঁড়িয়ে ১০৫ রানের বড় জয় চিটাগংয়ের
ক্রিকফ্রেঞ্জি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
আগের ম্যাচেই ঢাকা ক্যাপিটালসকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে দারুণ জয় তুলে নিয়েছিল দুর্বার রাজশাহী। সেই ম্যাচে তাসকিন আহমেদ একাই নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। চিটাগং কিংসের বিপক্ষে রাজশাহীর সেই বোলিংয়ের ধাঁর দেখা যায়নি। উল্টো দলটির বোলারদের তুলোধোনা করে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন উসমান খান। আর তাতে ভর করেই ২১৯ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল চিটাগং।

জবাবে খেলতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে রাজশাহী অল আউট হয়ে গেছে ১১৪ রানে। ফলে ১০৫ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে দলটিকে। রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ ৩২ রান করেছেন ওপেনার মোহাম্মদ হারিস। আর কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি।  শুরুতে উইকেট হারানো যেন রাজশাহীর নিয়মিত চিত্র এবারের বিপিএলে। চিটাগং কিংসের বিপক্ষেও ব্যতিক্রম হয়নি। ইনিংসের প্রথম ওভারেই তারা হারিয়েছে সাব্বির হোসেনের উইকেট। শরিফুলের করা ওভারের শেষ বলে লিডিং এজ হয়ে সাব্বির ক্যাচ দিয়েছেন ফরওয়ার্ড পয়েন্টে উসমানের হাতে। 

পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই ৮ রান করা এনামুল হক বিজয়কে ফিরিয়েছেন আরাফাত সানি। এই স্পিনারের টসড আপ ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে পয়েন্টে পারভেজ হোসেন ইমনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। ফলে ৪১ রানেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় রাজশাহী। হারিস শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলেও তাকে থিতু হতে দেননি স্বদেশী মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র।

১৫ বলে ৩২ রান করা হারিস ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে। আম্পায়ার শুরুতে আউট না দিলেও রিভিউ নেয় চিটাগং। রিভিউতে দেখা যায় বল তার ব্যাট ছুঁয়ে গেছে। ফলে থার্ড আম্পায়ার তাকে আউট দেন। ৫২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফলে বিপদে পড়েছে দলটি। শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও রাজশাহীর রান রেট দশের আশে পাশেই রেখেছিলেন ব্যাটাররা।

চিটাগংয়ের বড় লক্ষ্য পাড়ি যে কোনো ব্যাটারকেই বড় ইনিংস খেলতে হত। সেই যাত্রায় সফল হননি আকবর আলী। তিনি ১২ বলে ১৮ রান করে ফিরেছেন সানির দ্বিতীয় শিকার হয়ে। এর ফলে ইয়াসির আলীর সঙ্গে তার জুটি ভেঙছে ৩১ রানে। সানিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে হায়দার আলীকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। খানিক বাদে আউট হয়েছেন একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকা ইয়াসির আলী।

১৫ বলে ১৬ রান করা এই ব্যাটার আলিস আল ইসলামের বলে গ্রাহাম ক্লার্ককে ক্যাচ দিয়েছেন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের বিদায় বড় বিপর্যয়ে পড়ে চট্টগ্রামের দলটি। রাজশাহীর শেষ স্বীকৃত ব্যাটার রায়ান বার্লকে নিজের শিকার বানিয়েছেন শরিফুল। এই পেসাররের লাফিয়ে ওঠা বল পুল করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে শর্ট ফাইন লেগে আলিস আল ইসলামের হাতে ক্যাচ দেন বার্ল। খানিক বাদে তাসকিন ফিরেছেন আলিসের বলে ডিপ মিড উইকেটে ক্লার্ককে ক্যাচ দিয়ে।

শেষ তিন ব্যাটারের মধ্যে শফিউল ইসলাম বড় শট খেলার চেষ্টায় ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন সানির হাতে। এরপর বোলিংয়ে এসে হাসান মুরাদকে এলবিডব্লিউ বানিয়ে আউট করেছেন সানি। শেষদিকে এসে ১১ রান করা সোহাগ গাজীকে এলবিডব্লিউ করে ফিরিয়ে রাজশাহীর ইনিংস ১১৪ রানে গুটিয়ে দেন মোহাম্মদ ওয়াসিম।

এর আগে উসমানের ৬২ বলে ঝড়ো ১২৩ ও গ্রাহাম ক্লার্কের ২৫ বলে ৪০ রানে ২১৯ রানের পুঁজি পায় চিটাগং। এই দুজনে দ্বিতীয় উইকেটে মাত্র ৬৩ বলে ১২০ রানের জুটি গড়ে চিটাগংয়ের বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন। এরপর মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে উসমান যোগ করেন আরও ৬৩ রান। 

ক্লার্ক আউট হয়েছেন ২৫ বলে ৪০ রান করে। মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ২৮ রানের ক্যামিও। রাজশাহীর বোলারদের মধ্যে ২টি উইকেট নেন তাসকিন। আর একটি করে উইকেট পান সোহাগ গাজী, শফিউল ইসলাম ও বার্ল।

আরো পড়ুন: বিপিএল