হেলস-টেলরকে দিয়ে সৌম্যর অভাব মেটাতে চান আর্থার
ছবি: রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে সৌম্য সরকার, রংপুর রাইডার্স
বাংলাদেশের জার্সিতে একটু একটু করে ফর্মে ফিরতে থাকা এই ব্যাটার গ্লোবাল সুপার লিগে আরও একবার নজর কেড়েছেন। রংপুর রাইডার্কে চ্যাম্পিয়ন করে সৌম্য হয়েছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক, ফাইনালের সেরা, টুর্নামেন্ট সেরা ক্রিকেটার। পুরো জিএসএলে ৫ ম্যাচে ১৮৮ রান করেছেন ৪৭ গড় ও ১৪২.৪২ স্ট্রাইক রেটে। সবচেয়ে বেশি ৯ ছক্কাও মেরেছেন সৌম্য নিজেই। এমন ফর্ম নিয়ে জাতীয় দলেও ছাপ রাখছিলেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরির দেখা। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলার সময় স্লিপে দাঁড়িয়ে ফিল্ডিং করতে গিয়ে আঙুলের চোটে পড়েন। হাতে পাঁচ সেলাই পরা বাঁহাতি ওপেনারের মাঠের বাইরে থাকতে হবে তিন থেকে চার সপ্তাহ। ফলে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথমাংশে রংপুরের জার্সিতে খেলা হচ্ছে না তাঁর। সৌম্য চোটে পড়ার পর তরুণ আজিজুল হক তামিমকে দলে টেনেছে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
চোটে না পড়লে রংপুরের হয়ে অ্যালেক্স হেলসের সঙ্গে ওপেন করতেন সৌম্য। তবে কয়েক সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে যাওয়ায় হেলসের সঙ্গে ওপেনিংয়ে দেখা যাবে স্টিভেন টেলরকে। কদিন আগে হওয়ায় গ্লোবাল সুপার লিগেও রংপুরের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই ব্যাটার। মিকি আর্থার বিশ্বাস করেন, হেলস ও টেলরকে দিয়ে সৌম্যর অভাব পূরণ করতে পারবে তারা। তবে সৌম্য থাকলে আরও ভালো হতো বলে মনে করেন রংপুরের প্রধান কোচ।
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে আর্থার বলেন, ‘সৌম্য সরকার জিএসএলে আমাদের হয়ে দারুণ খেলেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজেও সে সেই ফর্মটা ধরে রেখেছিল, এটা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। সে দারুণ একজন ক্রিকেটার। তাঁর মতো একজন না থাকা আমাদের জন্য হতাশার।
‘কিন্তু এটা অন্য একজন ছেলেকে দায়িত্ব নেয়ার সুযোগ করে দেবে। ওপেনিংয়ের জন্য আমরা অ্যালেক্স হেলস ও টেলরের মতো দুজন দারুণ বিদেশি ব্যাটার পেয়েছি। হেলস যখন চলে যাবে তখন আফগানিস্তানের অটল আসবে। আমরা এই জায়গাটা পূরণ করতে পারব। কিন্তু অবশ্যই সৌম্যকে শুরুতে পেলে ভালো হতো। আমরা তাকে ব্যাক করে যাব।’
গ্লোবাল সুপার লিগেও রংপুরের কোচিং করানোয় বেশিরভাগ ক্রিকেটারকে চেনেন আর্থার। কামরুল ইসলাম রাব্বি, সাইফ হাসান, নুরুল হাসান সোহানরা খেলেছেন সেই টুর্নামেন্টে। বিদেশি ক্রিকেটারদের মাঝে টেলর, খুশদিল শাহ, হারমীত সিংরাও খেলেছেন তাঁর অধীনে। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে যেকোন দলের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে রংপুর, এমনটা মনে করেন আর্থার। তবে আপাতত সেরা চারে যাওয়া নিয়ে ভাবছেন তিনি।
রংপুরের প্রধান কোচ বলেন, ‘সুবিধা পাব কারণ আমি আমার খেলোয়াড়দের চিনি। আমি তাদের সঙ্গে কাজ করেছি এবং আমরা যথেষ্ট প্রতিভাবান ক্রিকেটার পেয়েছি। আমরা যদি আমাদের নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারি তাহলে আমরা চ্যালেঞ্জ হতে পারি। আমাদের সবার প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে সেরা চারে যাওয়া। তখন সবার জন্য নক আউট। আমরা যদি সেরা চারে যেতে পারি তাহলে আমরা অবশ্যই টুর্নামেন্টের দাবিদার থাকবে।’