ধারণা করা হচ্ছে, ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হতে পারে ঢাকা প্রথম বিভাগ লিগ। সেটার একটা বড় কারণ লিগ বর্জন করা ক্লাবগুলোকে টুর্নামেন্টে ফেরানোর চেষ্টা। বিসিবি নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে ঢাকা ক্লাব ক্রিকেট অর্গানাইজার্স অ্যাসোসিয়েশন জানায়, তারা কোনো লিগে অংশ নেবে না। ক্লাবগুলোকে ফেরাতে কদিন আগেই তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ক্রিকেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)।
যদিও সবাইকে রাজি করাতে পারেনি তারা। ক্রিকেটারদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে ক্রিকেট কমিটি অব মেট্রোপলিস (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান আদনান রহমান দীপনের সঙ্গে দেখা করেছেন মোহাম্মদ মিঠুন-শামসুর রহমান শুভরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ ও নুরুল হাসান সোহানরাও। পরবর্তীতে বৈঠক করেছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সঙ্গেও।
তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে আবারও ক্লাবগুলোর সঙ্গে বসতে যাচ্ছে কোয়াব। সেই আলোচনায় সঙ্গে রাখা হচ্ছে বিসিবিকেও। আগামী ২০ নভেম্বর মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। যদিও কোথায় মিটিং হবে সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। শামসুরের বিশ্বাস, রাগ কিংবা কষ্ট ভুলে ক্রিকেটারদের স্বার্থে লিগে অংশ নেবে ক্লাবগুলো।
কোয়াবের কার্যনির্বাহী সদস্য শামসুর বলেন, ‘২০ নভেম্বর ক্লাব, বিসিবি এবং কোয়াব মিলে একটা মিটিং হবে। মিটিংটা কোথায় হবে সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ইনশাআল্লাহ, ২০ তারিখের পরে আমরা খেলোয়াড়রা বলতে পারব আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ কী নিব। কিন্তু আমরা খুবই আশাবাদী প্রত্যেকটা ক্লাব খেলবে এবং সবাই ক্রিকেটের স্বার্থে নিজেদের রাগ হোক, কষ্ট হোক সেগুলো ভুলে ইনশাআল্লাহ সবাই মাঠে আসবে।’
সূর্যতরুণ, ওরিয়েন্ট, আম্বার স্পোর্টিং, পারটেক্স স্পোর্টিং, কাকরাইল বয়েজ, খেলাঘর, কলাবাগান ও গাজী টায়ার্স ঢাকা প্রথম বিভাগ লিগে দলবদল করেনি। প্রথম দিনে ৪৭ জন ঠিকানা বদলেছিলেন। দ্বিতীয় দিনে দল বদলেছেন আরও ৮৯ জন। এ ছাড়া ৮৯ জন ক্রিকেটার ‘ফ্রি সাইনিং’ টোকেন তুলে রেখেছেন। টুর্নামেন্টে শুরুর আগে চাইলে যেকোনো দলে যোগ দিতে পারবেন।