অক্টোবরের দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো মাঠে গড়ায়নি তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ। কবে নাগাদ শুরু হবে সেটার নিশ্চয়তাও দিতে পারেনি ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)। প্রথম বিভাগ কিংবা দ্বিতীয় বিভাগ কবে শুরু হবে সেটাও বলতে পারছে না কেউই। শুধু প্রথম, দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগই নয় আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে হতে যাওয়া ডিপিএল নিয়েও আছে সংশয়।
লিগ বর্জন করা ৪৮ ক্লাবের মধ্যে আছে আবাহনী লিমিটেড, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও শাইনপুকুরের মতো বড় ক্লাবগুলো। বিসিবি ও ক্লাবের এমন জটিলতায় অনিশ্চয়তা ক্রিকেটাররা। কারণ লিগের মাস চারেক বাকি থাকলেও কোনো ক্রিকেটারের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি কোনো ক্লাব। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের জন্য এগিয়ে এসেছে কোয়াব।
ক্রিকেটারদের সংগঠনের সভাপতি মিঠুন বলেন, 'আমরা আজ (১৯ অক্টোবর) বসেছিলাম, ২ ঘন্টার বেশী আলোচনা হয়েছে। ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের চিন্তাই আমাদের প্রথম প্রায়োরিটি ছিল, তাদের আমরা অনেক খানি বোঝারে সক্ষম হয়েছি যে ক্রিকেট বন্ধ হওয়া যাবে না, অনেকের রুটি-রুজির ব্যাপার আছে।'
জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস ডিপিএল। ওই উপার্জন দিয়েই নিজেদের পরিবার চালিয়ে থাকেন। তৃতীয় বিভাগ কোয়ালিফাইং থেকে শুরু করে ডিপিএল খেলা ক্রিকেটারদের উপর নির্ভর করে প্রায় হাজার দুয়েক পরিবার। ডিপিএলে খেলা ক্রিকেটার অবশ্য ৫০ ওভারের টুর্নামেন্ট না হলেও বিপিএল, এনসিএল, এনসিএল টি-টোয়েন্টির মতো টুর্নামেন্ট খেলে পরিবার চালাতে পারেন। তবে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগে খেলা ক্রিকেটারদের অবশ্য অন্য কোনো বিকল্প নেই। এসব ভাবনা থেকেই ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে কোয়াব।
সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালকে নিয়েই এই সভায় ছিলেন মিঠুন। বিসিবি নির্বাচন থেকে নাম সরিয়ে নেয়া তামিম নিজেও ক্রিকেটারদের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন। মিঠুন বলেন , 'তামিম ভাই এখানে একটা বড় ভূমিকা পালন করেছেন, উনি সবার সাথে আলাদা আলাদা করে কথা বলেছেন। ৮০ভাগ মানুষ আমাদের পক্ষে মত দিয়েছেন শেষ পর্যন্ত। কয়েকজনকে এখনও রাজি করাতে পারিনি, আশা করি তারাও মেনে নিবেন।'
'দিনশেষে ক্রিকেটরই জয় হবে। আমাদের ভেতর আরও আলোচনা হবে, আরও কয়েকবার বসব আমরা, তবে এখন পর্যন্ত আশাবাদী যে সব ইতিবাচক দিকে যাচ্ছে।'