এমন সমীকরণে পেসার মেহেদী হাসান রানার উপর ভরসা রাখেন অধিনায়ক ইয়াসির আলী রাব্বি। প্রথম বলেই ওয়াইড দেন মেহেদী। বাঁহাতি পেসার পরের বলটা করেন ডাউন দ্য লেগে। ফাইন লেগ দিয়ে চার মেরে খুলনাকে জয়ের আরও কাছে নিয়ে যান অভিষেক। তৃতীয় বলে চার মেরে খুলনার ৪ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন অভিষেক। ডানহাতি ব্যাটার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১১ বলে ২৭ রান করে। আরেক ব্যাটার নাহিদুল ৯ বলে ২১ রান করেছেন। চট্টগ্রামকে হারিয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টির ফাইনালে জায়গা উঠেছে খুলনা। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রংপুরের বিপক্ষে খেলবে চট্টগ্রাম।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জিততে হলে ১৪৮ রান তাড়া করতে হতো খুলনাকে। তবে বৃষ্টির কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমিয়ে আনা হয় ৯ ওভারে। তাতে খুলনার লক্ষ্য দাঁড়ায় ৭৮ রান। বৃষ্টি শুরুর আগেই ইমরানুজ্জামানের উইকেট হারায় খুলনা। বৃষ্টি শেষেও শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। উড়িয়ে মারার চেষ্টায় দ্রুতই ফেরেন এনামুল হক বিজয়। পরের ওভারে আউট হয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুনও। গোল্ডেন ডাক মেরেছেন তিনি।
একটু পর আউট হয়েছেন সৌম্যও। ১৩ বলে ১৪ রান করেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। দ্রুতই ফেরেন জিয়াউর রহমান ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। ৩০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে খুলনা। তবে নাহিদুল ও অভিষেকের ৫১ রানের দুর্দান্ত জুটিতে ম্যাচ জিতে নেয় তারা। অভিষেক ২৭ ও নাহিদুল অপরাজিত ছিলেন ২১ রানে। চট্টগ্রামের হয়ে দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান ও আহমেদ শরীফ।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি চট্টগ্রাম। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়। তবে দ্বিতীয় উইকেটে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন মুমিনুল হক ও শাহাদাত হোসেন দিপু। তাদের দুজনের জুটি ভাঙে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে। টিপু সুলতানের ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে কভারের উপর দিয়ে খেলার চেষ্টায় টাইমিংয়ে গড়বড় করে আউট হয়েছেন সৌম্যর হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১৬ বলে ১৯ রান করেছেন তিনি।
মুমিনুল ফেরার পরের ওভারে আউট হয়েছেন দিপুও। পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরির বলে সুলতানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১৯ বলে ২৫ রান করা এই ব্যাটার। দ্রুতই ফিরে যান সৈকত আলীও। তবে শেষের দিকে চট্টগ্রামের রান বাড়িয়েছেন ইরফান শুক্কুর ও ইয়াসির আলী চৌধুরি। তাদের দুজনের ব্যাটেই দেড়শর কাছে যায় চট্টগ্রাম। যেখানে শুক্কুর ৩৯ ও ইয়াসির ৪৫ রান করেছেন। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রানের পুঁজি পায় তারা।