২২ রান প্রয়োজন হলেও ডানহাতি মিডিয়াম পেসার ৪ রান খরচায় নিয়েছেন ২ উইকেট। জিয়াউরের এমন বোলিংয়েই ১৭ রানের জয় পেয়েছে খুলনা। ব্যাটিংয়ে ২ ছক্কায় ৭ বলে অপরাজিত ১৭ রানের ক্যামিও ইনিংসের পাশাপাশি বোলিংয়ে ৪ ওভারে ২৮ রান খরচায় নিয়েছেন ৪ উইকেট। এমন পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরাও হয়েছেন জিয়াউর। ৬ ম্যাচে খুলনার এটি চতুর্থ জয়, হার একটিতে। ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে রয়েছে তারা।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ঢাকা মেট্রোকে ভালো শুরু এনে দেন আশিকুর রহমান শিবলী ও জিসান আলম। তাদের দুজনের ব্যাটে উদ্বোধনী জুটিতে ৪.২ ওভারে ৪১ রান তোলে তারা। ১৭ বলে ২৩ রান করা আশিকুরের বিদায়ে ভাঙে জুটি। পাওয়ার প্লে শেষে আউট হয়েছেন আরেক ওপেনার জিসানও। ১৭ বলে ২০ রান করা জিসানকে ফেরান জিয়াউর।
পরবর্তীতে আরিফুল ইসলাম ও অঙ্কন মিলে জুটি গড়ে তোলেন। দুজনে মিলে ঢাকা মেট্রোকে এগিয়েও নিচ্ছিলেন ভালোভাবে। ১৭ রান করা আরিফুলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার। ভালো শুরু পেলেও সুবিধা করে উঠতে পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও। ৯ বলে ১২ রান করে আউট হয়েছেন শেখ পারভেজ জীবনের বলে স্টাম্পিং হয়ে। দ্রুত ফিরে গেছেন শুভাগত হোমও।
এক দাঁড়িয়ে ঢাকা মেট্রোকে টেনে নেয়ার চেষ্টা করলেও সেটা কাজে আসেনি। ২ ছক্কা ও ৩ চারে ৩৬ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলে ফিরলে জয়ের আশা ফুরিয়ে যায় ঢাকা মেট্রোর। শেষ পর্যন্ত জিয়াউরের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচ জিতে নেয় খুলনা। তাদের হয়ে জিয়াউর পাশাপাশি মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি দুইটি উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন পারভেজ, টিপু সুলতান ও সৌম্য।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান তোলে খুলনা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ ছক্কা ও চারটি চারে ২৪ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেছেন আফিফ হোসেন। এ ছাড়া মোহাম্মদ মিঠুন ৪১, ইমরানুজ্জামান ৩৪, সৌম্য ২৪ ও জিয়াউর ১৭ রান করেছেন। ঢাকা মেট্রোর হয়ে ৪ ওভারে ৪২ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তাইবুর রহমান। পেসার রিপন মণ্ডল পেয়েছেন দুইটি উইকেট।