ঝড়ো ইনিংসে সৌম্য-আফিফের ফিফটি ম্লান করলেন শান্ত-সোহান

ঘরোয়া
ঝড়ো ইনিংসে সৌম্য-আফিফের ফিফটি ম্লান করলেন শান্ত-সোহান
নাজমুল হাসান শান্ত, ইউটিউভ থেকে
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় আসরে আবারও সিলেটে ফিরেছে মাঠের লড়াই। বৃষ্টির কারণে এক ম্যাচ পরই টুর্নামেন্ট স্থগিত হলেও শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পুনরায় গড়ায় মাঠে খেলা। ফিরতি ম্যাচেই মুখোমুখি হয় খুলনা ও রাজশাহী বিভাগ। খুলনাকে আট উইকেটে হারায় রাজশাহী।

খুলনার ব্যাটিংয়ের শুরুটা ছিল হতাশাজনক। মাত্র ১৩ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দলটি। তবে চতুর্থ উইকেটে দলের হাল ধরেন সৌম্য সরকার ও আফিফ হোসেন। তারা ৭২ বলের জুটিতে যোগ করেন ১১৭ রান।

সৌম্য ছিলেন শুরু থেকে আক্রমণাত্মক। নাজমুল হোসেন শান্তর বলে আউট হওয়ার আগে তিনি ৩৪ বলে চারটি ছক্কা ও ছয়টি চারে ৬৩ রান করেন। তার বিদায়ের পর দ্রুত ফিরে যান আফিফও। শফিকুল ইসলামের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ৪৫ বলে তিনটি চার ও তিনটি ছক্কায় তার ইনিংস থামে ৫০ রানে।

শেষ দিকে মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ৬ বলে ১০ রান। নাহিদুল ইসলাম খেলেন ১১ বলে অপরাজিত ১৭ রানের একটি কার্যকর ইনিংস। নির্ধারিত ২০ ওভারে খুলনা সংগ্রহ করে সাত উইকেটে ১৭১ রান।

রাজশাহীর হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন নিহাদুজ্জামান। তিন ওভারে ২০ রান দিয়ে শিকার করেন দুটি উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন মেহরব হোসেন, শফিকুল ইসলাম, শান্ত, নাহিদ রানা ও তাইজুল ইসলাম।

লক্ষ্য তাড়ায় রাজশাহী পায় দুর্দান্ত শুরু। উদ্বোধনী জুটিতেই শান্ত ও হাবিবুর রহমান সোহান যোগ করেন ১৪৮ রান, যা জয়কে করে অনেকটা সহজ। দুজনই খেলেন আগ্রাসী ইনিংস। বিশেষ করে সোহান ছিলেন বেশ বিধ্বংসী মেজাজে।

মাত্র ছয় রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন এই ওপেনার। ৪৫ বলে ১০টি চার ও ছয়টি ছক্কায় তিনি করেন ৯৪ রান। এরপর সাব্বির হোসেন দুই রানে ফিরলেও শান্ত ইনিংসটি শেষ করেন অপরাজিত থেকে।

শান্ত ৩৯ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৬৫ রান। ২৩ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে রাজশাহী। দারুণ ওপেনিং জুটির উপর ভর করে টুর্নামেন্টে শক্ত অবস্থান জানিয়ে দেয় দলটি।

আরো পড়ুন: খুলনা