১১ রানে ফাহাদের ৪ উইকেট, চট্টগ্রামের জয় ১০ উইকেটে
ছবি: ১১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামের জয়ের নায়ক ফাহাদ হোসেন, ক্রিকফ্রেঞ্জি
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ৬৫ রান তাড়ায় শুরু থেকেই সাবধানী ছিলেন জয় ও তামিম। প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৫ রান করেছিলেন তারা। তবে তৃতীয় ওভারে ইকবাল হোসেন ইমনের বিপক্ষে দুই চার মেরে ব্যাটিংয়ের জড়তা কাটান তামিম। পরের ওভারে নাজমুল ইসলাম অপুকে দুই চার মেরেছেন আরেক ওপেনার জয়। পাওয়ার প্লের বাকি সময়টায় আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করেছেন তিনি।
পাওয়ার প্লে শেষে বিনা উইকেটে চট্টগ্রামের রান ৪৮। পরের ওভারেই এনামুল হককে দুই চার মেরে ১০ রান এনেছেন জয়। ম্যাচ জিততে শেষ ১৩ ওভারে মাত্র ৭ রান প্রয়োজন তামিমদের। সেই রান করতে ৪ ওভার খেলেছেন চট্টগ্রামের দুই ওপেনার। অনেকটা ব্যাটিং অনুশীলনের মতো উইকেটে সময় কাটিয়ে ১০ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছেন তারা। ৪৪ রানে জয় এবং তামিম অপরাজিত ছিলেন ২৯ বলে ২১ রান করে।
সকালের শুরুতে সিলেটে ফাহাদের তোপের মুখে পড়ে ঢাকা। ইনিংসের প্রথম বলে থেকেই আশিকুরকে লেগ স্টাম্পের উপর বোলিং করে যাচ্ছিলেন ফাহাদ। যদিও শুরুটা ভালো হয়নি বাঁহাতি এই পেসারের। প্রথম ডেলিভারিতে আশিকুরের থাই প্যাডে লেগে বল চলে যায় সীমানায়। তৃতীয় বলে ফাইন লেগ দিয়ে চার মেরেছেন তরুণ এই ওপেনার। তাকে ফেরাতে প্রায় একই জায়গায় বোলিং করে যাচ্ছিলেন ফাহাদ। শেষ পর্যন্ত সফলও হয়েছেন তিনি।
বাঁহাতি পেসারের মিডল স্টাম্পের এক ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ৪ রান করা আশিকুর। নিজের দ্বিতীয় ওভারে আরিফুল ইসলামকেও প্রায় একই কায়দায় আউট করেছেন ফাহাদ। পরের বলে ফিরিয়েছেন মাহিদুল অঙ্কন। তরুণ এই উইকেটকিপার ব্যাটার আউট হয়েছেন ফাহাদের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে। পরবর্তীতে সাইফকে ফিরিয়ে ঢাকার টপ অর্ডারকে একেবারে ধসিয়ে দিয়েছেন ফাহাদ। ৪ ওভারে ১১ রান দেয়া এই পেসার এক মেডেনে নিয়েছেন চারটি উইকেট।
ফাহাদের এমন বোলিংয়ের পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ঢাকা। চট্টগ্রামের বাকি দুই পেসার ইরফান ও শরীফ নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। স্পিনার জয় ফিরিয়েছেন তাইবুর রহমান ও সুমন খানকে। ৬৪ রানে অল আউট হওয়া ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান এসেছে তাইবুরের ব্যাট থেকে। বাকিদের কেউই দুই অঙ্কের কোটা স্পর্শ করতে পারেননি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ঢাকা বিভাগ- ৬৪/১০ (১৬.৪ ওভার) (তাইবুর ৩০; ফাহাদ ৪/১১, ইরফান ২/১৩, শরীফ ২/১৬, জয় ২/৮)
চট্টগ্রাম বিভাগ- ৬৫/০ (১১ ওভার) (জয় ৪৪*, তামিম ২১*)