তাওহিদ হৃদয় অবশ্য পরিষ্কার করে জানিয়েছেন উইকেট কোনো সমস্যা নয়, ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ দলের ব্যাটাররাই। তার মতে, দুই দল একই উইকেটে খেললেও ব্যবধান তৈরি হয়েছে স্রেফ নিজেদের ভুলে। আয়ারল্যান্ড ২০ ওভারে তোলে ১৮১ রান। বাংলাদেশের ঘরের মাঠে কখনোই ১৬৫ রানের বেশি টপকে জিততে পারেনি। কিন্তু ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি টাইগাররা।
পাওয়ার প্লে'র ধস এবং ১৩ ওভারের মধ্যে আট উইকেট হারানোর পর ম্যাচটি নিশ্চিতভাবেই চলে যায় আয়ারল্যান্ডের দিকে। শেষ পর্যন্ত হৃদয়ের অপরাজিত ৮৩ রানের ইনিংস পরাজয়ের ব্যবধান শুধু কিছুটা কমিয়ে আনে। অন্যপ্রান্তে কেউ তাকে যথেষ্ট সঙ্গ দিতে না পারায় ম্যাচে ফেরার সুযোগ তৈরি হয়নি।
আইরিশ ব্যাটসম্যানরা তবে উইকেটের চরিত্র ভালোভাবেই কাজে লাগান। কোনো পঞ্চাশ রানের জুটি না হলেও নিয়মিত ৩০ রানের ছোট ছোট জুটি দলকে এগিয়ে নেয়। হ্যারি টেক্টর ছাড়া কোনো ব্যাটার ফিফটি না করলেও সবাই মিলে টি-টোয়েন্টির মান বজায় রেখে ইনিংসটি গড়েন।
সংবাদ সম্মেলনে হৃদয় বলেন, 'উইকেট অবশ্যই অনেক ভালো। ওরা ভালো খেলেছে, আমরা ভালো করতে পারিনি। উইকেটের এখানে কোনো দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমরা নিজেরাই আমাদের বাস্তবায়ন ভালোভাবে করতে পারিনি… তখন খেলাটা অন্যরকম হতো।'
১৮ রানে চার উইকেট হারানোর পর হৃদয় ও জাকের আলীর ৪৮ রানের জুটিই ছিল একমাত্র ভরসা। কিন্তু জাকের ২০ রান করে আউট হলে সেখানেই থেমে যায় প্রতিরোধ। এরপর আর কেউ প্রতিযোগিতায় ফিরিয়ে আনার মতো অবদান রাখতে পারেননি।
জুটি বড় না হওয়াটা নিয়েই আফসোস ঝরে হৃদয়ের কণ্ঠে। 'যদি আমাদের একটা বড় জুটি হতো, তাহলে খেলাটা অন্যরকম হতো… এমনকি আমি আর জাকের যখন ব্যাটিং করছিলাম, তখনও যদি আমাদের একটা ৭০-৮০ রানের জুটি হতো, তাহলে হয়তো অন্যরকম একটা চিত্র হতে পারত।'