দ্বিতীয় ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিলেও মুশফিক যখন ৫৩ রানে অপরাজিত তখন বাংলাদেশ ইনিংস ঘোষণা করে দেয়। ফলে রিকি পন্টিংয়ের সঙ্গে নাম লেখানোর সুযোগ পাননি বাংলাদেশি এই ব্যাটার। ২০০৬ সালে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছিলেন পন্টিং। যে ম্যাচটি ছিল তার শততম টেস্ট।
মুশফিককে সেঞ্চুরির সুযোগ না দিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস ঘোষণায় অনেকেই অবাক হয়েছেন। তবে ম্যাচ শেষে এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল। তিনি জানিয়েছেন দল কারো ব্যক্তিগত রেকর্ড মাথায় রাখে না। ৫০০ রানের লিড হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ তাই ইনিংস ঘোষণা করে দেয়।
আশরাফুল বলেন, ‘যেহেতু এটা একটা টিম গেম, এখানে ব্যক্তিগত জিনিস চিন্তা করে না। যদিও আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স করলেই দলের পারফরম্যান্সটা হয়। কিন্তু এমন একটা পরিস্থিতি ছিল যে আমাদের ইতিমধ্যে ৫০০ রান হয়ে গেছে এবং আমরা বিশ্বাস করি, আয়ারল্যান্ডের ১০টা উইকেট নিতে আমাদের যেই ওভারটা ছিল, তা দরকার।’
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ৩ দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে আয়ারল্যান্ডের ৬ উইকেট তুলে নিয়েছে টাইগাররা। চতুর্থ দিন মাত্র ৪ উইকেট তুলে নিতে পারলেই বড় জয় পেয়ে যাবে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ড এখনও পিছিয়ে আছে ৩৩৩ রানে। হাতে দুইদিন থাকলেও মুমিনুল হক ৮৭ রানে আউট হতেই ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ।
বিষয়টি খোলাসা করে আশরাফুল বলেন, ‘হ্যাঁ, চাইলে আরও এক ঘণ্টা খেলানো যেত। কিন্তু জিনিসটা সুন্দর লাগত না স্পিরিট অব ক্রিকেটে। হয়তো এ কারণেই ম্যানেজমেন্ট এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেহেতু মুমিনুল কাছাকাছি ছিল, তাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সে করতে পারেনি। সেই কারণেই আসলে আর খেলা হয়নি।’