জাতীয় দলের হয়ে এই ম্যাচে নামার আগ পর্যন্ত ৯৯ টেস্টে ২৭ হাফ সেঞ্চুরি ও ১২ সেঞ্চুরিতে ছয় হাজার ৩৫১ রান করেছেন মুশফিক। বাংলাদেশের প্রথম হলেও বিশ্বের ৮৪তম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলছেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান টেস্ট ছেড়ে দেয়ায় তাদের সেই সুযোগটা নেই। তবে ৭৪ টেস্ট খেলা মুমিনুল হকের সম্ভাবনা আছে ১০০ টেস্ট খেলার। সুস্থ থাকার পাশাপাশি নিয়মিত পারফর্ম করলে তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ কিংবা লিটন দাসেরও সুযোগ থাকবে এমন কীর্তি গড়ার।
দেশের প্রথম ক্রিকেটার হওয়ায় বিশেষ আয়োজন করে বিসিবি। মিরপুরে বেশ কিছু স্মারক গ্রহণ করেন মুশফিক। বাংলাদেশ দলের সাবেক ক্রিকেটার আমিনুল ইসলাম বুলবুল, আকরাম খান, হাবিবুল বাশার সুমনরা তাকে ভিন্ন ভিন্ন স্মারক প্রদান করেন।
৯৫ রানে তিন উইকেট পড়ার পর ব্যাটিংয়ে নামেন মুশফিক। আইসিসির ফেসবুক পেজ থেকে তখনই প্রকাশ করা হয় রিকি পন্টিংয়ের বার্তা। মুশফিককে শুভকামনা জানান তিনি।
পন্টিং বলেন, 'এটা অসাধারণ কৃতিত্ব। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে মুশফিক এমনটা করেছে। আমি অনেকবারই বলেছি, হাই কোয়ালিটির ক্রিকেটারদের আমি তাদের দীর্ঘস্থায়িত্ব দিয়েই বিচার করি। বড় মঞ্চে তারা লম্বা সময় ধরেই পারফর্ম করতে থাকে, প্রতি বছরই।'
'আপনি যখন ৭০, ৮০, ৯০ টি টেস্ট খেলবেন, তখন আপনি নিজেকে পরিবর্তন করে উন্নতি করার সুযোগ পাবেন। আরো ভালো খেলতে পারবেন। এটা কোনোভাবেই সহজ নয়। এটা অসাধারণ অর্জন। একশতম ম্যাচে আমি মুশফিককে সাধুবাদ জানাই। আশা করি তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ম্যাচটি সে খেলবে।'