বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৩ টেস্ট সেঞ্চুরি করেছেন মুমিনুল হক। সেই হিসেবে বাংলাদেশের সাবেক টেস্ট অধিনায়কের চেয়ে এখনো পাঁচটা সেঞ্চুরি কম শান্তর। বাঁহাতি ব্যাটারের চেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরি আছে মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবালের। তবে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করার রেকর্ডে তাদের সবার উপরে শান্ত। টেস্টে ৬১.৫৪ শতাংশ হাফ সেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করেছেন তিনি। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সেই তালিকায় দুইয়ে আছেন মোহাম্মদ আশরাফুল।
বাংলাদেশের জার্সিতে ৬১ টেস্টে ১৪বার পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেছেন সাবেক এই ব্যাটার। যেখানে ৮ হাফ সেঞ্চুরির বিপরীতে করেছেন ৬ সেঞ্চুরি। অর্থাৎ ৪২.৮৬ শতাংশ হাফ সেঞ্চুরিতে তিন অঙ্কে নিয়ে গেছেন বাংলাদেশের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক। বাংলাদেশে সবার উপরে থাকার পাশাপাশি নামকরা ক্রিকেটারদেরও পেছনে ফেলেছেন শান্ত। পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তরের তালিকায় বাঁহাতি ব্যাটারের উপরে আছেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যান এবং জর্জ হ্যাডলি।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৫২ টেস্টে ১৩ হাফ সেঞ্চুরির বিপরীতে করেছেন ২৯ সেঞ্চুরি। অর্থাৎ ৬৯.০৫ শতাংশ পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসকে সেঞ্চুরিতে নিয়ে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই ব্যাটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হ্যাডলি ক্যারিয়ারে খেলেছেনই কেবল ২২ টেস্ট। যেখানে ৫ হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে করেছেন ১০ সেঞ্চুরি। টেস্ট ক্যারিয়ারে ৬৬.৬৭ শতাংশ পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসকেই সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করেছেন হ্যাডলি।
মাত্র ৩৮ টেস্ট খেলায় এখনই নিজেকে খুব বেশি দূর চিন্তা করছেন না শান্ত। ক্যারিয়ারে ১০০ কিংবা ১৫০ টেস্ট খেলার পরই এসব নিয়ে ভাবতে চান। শুরুর মতো যদি শেষটা করতে পারেন তাহলে ভালো লাগবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। এ প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, ‘মাত্র মনে হয় ৩৮ টেস্ট খেলেছি। এখনই এত ভালো ভালো কথা শোনার আসলে অভ্যাস আমার নেই।’
‘আমার মনে হয় মুশফিক ভাই ৯৯ টেস্ট খেলে ফেলেছে, ১০০ কিংবা ১৫০ টেস্ট খেলার পর যদি এরকম ধারাবাহিক হতে পারি তাহলে আমি বলতে পারব আমি মনে হয় ভালোভাবে ক্যারিয়ারটা শেষ করতে পেরেছি। শুরুটা ভালো, তবে আমি যেটা বললাম সবেমাত্র ৩৮ টেস্ট। যদি ক্যারিয়ার শেষে এরকম ধারাবাহিক থাকতে পারি তাহলে ভালো লাগবে। কিন্তু আমি চিন্তা করে করি না। চেষ্টা করি যখনই থিতু হই কীভাবে দলের জন্য বড় রান করতে পারি।’
বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৯৯ টেস্ট খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। ডানহাতি উইকেটকিপারের পরে আছেন মুমিনুল (৭৪ টেস্ট), সাকিব আল হাসান (৭১ টেস্ট) এবং তামিম (৭০ টেস্ট)। সেই তালিকায় এখনো বেশ পেছনে শান্ত। ৯৯ টেস্ট খেলার সুযোগ এলে সেটাকে ১০০তে নিয়ে যেতে চান তিনি। তবে সেটার জন্য সুস্থ থাকার পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবে পারফর্মও করতে হবে বলে জানান বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক।
বাঁহাতি এই ব্যাটার বলেন, ‘৯৯টা তো অবশ্যই না, ৯৯টা হলে আমি ১০০টা (টেস্ট) খেলতে চাইব। কিন্তু সুস্থ থাকতে হবে, পারফরম্যান্সটা ধারাবাহিকভাবে করতে হবে। এত লম্বা চিন্তা করতে চাই না কারণ আমরা খুবই কম টেস্ট ম্যাচ খেলি। গত কয়েক বছরে হয়ত আমরা একটু বেশি খেলা শুরু করেছি। সুতরাং চেষ্টা থাকবে একেকটা ম্যাচে কীভাবে আমি দলের জন্য অবদান রাখতে পারি।’