সিলেট টেস্টের প্রথম দিনে পাঁচটি ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। ক্যাচ ছাড়েন সাদমান ইসলাম, তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। ৮ ও ১০ রানে জীবন পেয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন পল স্টার্লিং। ১০ রানে জীবন পেয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন অভিষিক্ত কেড কারমাইকেল। এ ছাড়া জীবন পান লরকান টাকার ও জর্ডান নিল। এর ফলেই লড়াইয়ের পুঁজি নিশ্চিত করে ফেলেছে আইরিশরা।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে হাসান বলেন, 'ওটা পার্ট অফ দ্য গেম, ক্যাচ ছাড়বেই। বাট আমরা চেষ্টা করি। এটা আসলে পজিটিভ হিসেবে নেই যে সুযোগ আসছে। ফিল্ডাররা আরও রেডি থাকে পরের সুযোগের জন্য। কিন্তু অবশ্যই ভালো লাগে না ক্যাচ মিস হলে। বাট সবাই চেষ্টা করছে।'
ফিল্ডিং নিয়ে বাংলাদেশ দল অনেক কঠোর পরিশ্রম করছে বলেও জানালেন হাসান। তারা প্রতিদিনই ক্যাচিং অনুশীলন করছেন। হাসান মনে করেন ক্যাচ মিস খেলারই একটি অংশ। তবে যত দ্রুত ক্যাচ মিসের হার কমানো যায় সেটাই ভালো হবে বাংলাদেশ দলের জন্য। তিনি আশাবাদী পরবর্তীতে এতো ক্যাচ মিস হবে না।
হাসান বলেছেন, 'সবাই যথেষ্ট কঠোর পরিশ্রম করছে ফিল্ডিং নিয়ে। আমরা প্রতিদিনই ফিল্ডিং সেশন করছি মাঠে এসে। চেষ্টা করছি যাতে আরেকটু উন্নতি করা যায়। কিন্তু খেলার মধ্যে এটা হইতে পারে, ক্যাচ মিস হইতে পারে, এটা পার্ট। আমরা চেষ্টা করি রিকভার কতটুকু করা যায়। হয়তো আজকে অনেকগুলা মিস হয়েছে। কিন্তু হয়তো নেক্সট টাইম আর হবে না বা আরও কমে যাবে।
বাংলাদেশের হয়ে অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ উইকেট নেন তিনটি, অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ দুটি। উইকেটে স্পিনারদের জন্য বিশেষ সুযোগ দেখছেন হাসান। ম্যাচ যতো এগোবে স্পিনাররা আরও সুবিধা পাবেন বলে ধারণা হচ্ছে হাসানের। তারাই ম্যাচে জেতাবেন বলে বিশ্বাস তার।
হাসান বলেছেন, 'আমি বলব যে স্পিনারদের জন্য ভালো সুযোগ। যতদিন যাবে উইকেটটা আরও একটু ঘুরবে বা আরও একটু টার্ন হবে। তো বোলাররা যদি কনসিস্টেন্ট থাকে তাদের লাইন অ্যান্ড লেংথে, আমার মনে হয় যে স্পিনাররাই দিন শেষে ম্যাচ জেতাবে আমাদের।'