জাতীয় দলের কোচদের নিয়ে বিভিন্ন সময়ই চলছে সমালোচনার ঝড়। বিশেষত জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারি কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের নামে কয়েকমাস ধরেই চলছে সমালোচনা। জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্বও তার কাঁধে।
অথচ নিয়মিতই ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজ বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে জিতলেও ব্যাটিংয়ে দারুণ কিছু করতে পারেনি দল। তবে মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটের দোহাই দিয়ে পার পেয়ে গেছেন দলটির ম্যানেজমেন্ট।
চট্টগ্রামে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আসলেও ভাগ্য বদলায়নি। ব্যাটিং উইকেট পেয়েও ম্যাচের পর ম্যাচ ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। দৃষ্টিনন্দন ক্রিকেট খেলতে পারেননি কেউই। তাই সিরিজ শেষে আবারও চাওর হয়েছে পুরোনো সমালোচনা।
লিটন বলেন, 'একটা জিনিস হচ্ছে একজন কোচ আপনাকে সাজেশনই দিতে পারবে। সে তো ২২ গজে গিয়ে খেলবে না। সুতরাং আপনাকে একটা ধারণা দিতে পারবে, ওই ধারণা নিয়ে আপনাকেই খেলতে হবে, বাস্তবায়ন আপনাকেই করতে হবে। আমার মনে হয় আমাদের যারা কোচ আছে তারা সম্পূর্ণভাবে আমাদের সাপোর্ট করছে।'
'আমাদেরই ব্যর্থতা আমরা ওইখানে ভালো মতো ডেলিভার করতে পারিনি। আশা করি খেলোয়াড়রা এই জিনিসটা থেকে শিক্ষা নেবে এবং শিখে সামনে আমরা খুব ভালো মতো ডেলিভার করতে পারব।'
টি-টোয়েন্টিতে স্কিলে পিছিয়ে আছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা, এমনটাও মনে করেন এই ফরম্যাটের অধিনায়ক লিটন। ব্যাটারদের স্কিল বাড়াতে হবে, এমনটা অকপটে স্বীকার করলেন তিনি।
লিটন আরো বলেন, 'দেখুন আপনার স্কিল যত বাড়াবেন ততো ভালো। কোন সময় কাজে লাগাবেন সেটা আপনার উপর। কিন্তু কারও যদি স্কিল অনেক বেশি থাকে সেখানে তো খারাপ হওয়ার কিছু নেই। অবশ্যই, আমাদের ব্যাটারদের স্কিল বাড়াতে হবে, সব ধরনের শটই খেলতে হবে। আমাদের হাতেগোনা কয়েকজন ব্যাটার রিভার্স সুইপ, সুইপ খেলি, সেটাও একটা পয়েন্টে।'
'বিশ্ব ক্রিকেট অনেক এগিয়ে গেছে। স্পিন উইকেটে যারা ব্যাটিং করে তারা সুইপ, রিভার্স সুইপ করে। সেদিক থেকেও আমরা একটু পিছিয়ে আছি। ওই জিনিসগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। আপনি যত পারেন আপনার স্ট্রেন্থ বাড়াবেন। কিন্তু আপনি এটা কখন কাজে লাগাবেন ওইটা আপনার খেলার উপর নির্ভর করবে।'