ডট বল কমানোর উপায় খুঁজছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ
ডট বল কমানোর উপায় খুঁজছে বাংলাদেশ
৪৮ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলেও বাংলাদেশকে জেতাতে পারেননি তানজিদ হাসান তামিম, ক্রিকফ্রেঞ্জি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
আধুনিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ডট বলের সুযোগ যেমন নেই তেমনি মারকাটারি ব্যাটিংয়ের বিকল্পও নেই। অথচ টি-টোয়েন্টিতে দুইটির একটিও করতে পারছে না বাংলাদেশের ব্যাটাররা। টি-টোয়েন্টি মেজাজের পরিবর্তে এখনো পুরনো ঘরানার ব্যাটিং করছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। উইকেটে থিতু হওয়ার নাম করে প্রায়শই একের পর এক ডট বল খেলে নিজেদের উপর চাপ বাড়ান লিটন দাসরা। যার খেসারতও দিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। তানজিদ হাসান তামিম জানালেন, কীভাবে ডট বল খেলার সংখ্যা কমানো যায় সেটার উপায় খুঁজে বের করতে হবে তাদের।

ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি—ফরম্যাট যাই হোক না কেন নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসের অর্ধেক বল ডট খেলাটা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে বাংলাদেশ। মিরপুরের স্পিন নির্ভর উইকেটে ওয়ানডে সিরিজ খেলায় সেটা আলাপের বাইরে রাখা যেতে পারে। তবে চট্টগ্রামের তুলনামূলক ভালো উইকেটেও নিজেদের পুরনো অভ্যাস বদলাতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১২০ বলের মধ্যে ৪৮টি ডট বল খেলেছেন সাইফ হাসান, তাওহীদ হৃদয়রা।

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সেটার সংখ্যা ৪৮! বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা মাঝের ওভারগুলোতে ডট বল খেলার প্রবণতা কমাতে না পারা ও প্রত্যাশিতভাবে দ্রুত রান তুলতে না পারা। প্রথম ম্যাচে ৭-১৫ পর্যন্ত বাংলাদেশের ব্যাটাররা খেলেছিলেন ১৭টি ডট বল, রান করেছিলেন ৬৯। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ২০টা ডট বলার পাশাপাশি রান করেছেন ৬৩। এত বেশি ডট বল খেলার ফলে শেষের দিকে চাপে পড়ছেন ব্যাটাররা। শুধু তাই নয় ১৫০ রানও তাড়া করতে পারছে না টাইগাররা।

চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৪৮ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেললেও বাংলাদেশকে জেতাতে পারেননি তানজিদ হাসান তামিম। জিততে হলে শেষ ৫ ওভারে ৫০ রান করতে হতো শামীম হোসেন পাটোয়ারিদের। অথচ সেই ৩০ বল থেকে মাত্র ৩৫ রান করতে পেরেছে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের পথটা কঠিন করে দিয়ে গেছে জাকের আলী অনিক ও তানজিদের জুটি। তারা দুজনে মিলে ৩০ বলে করেছেন ৩২ রান।

যেখানে জাকের ১৪ বলে ১১ এবং তানজিদ ১৬ বলে ১৭ রান করেছেন। তানজিদ মনে করেন, ওই জায়গায় ডট বল কমানো গেলে চাপটা একটু কম হতো। বাঁহাতি এই ওপেনার বলেন, ‘এই জায়গায় যদি আমরা ডট বল কম খেলতে পারতাম তাহলে হয়তবা আমাদের চাপটা একটু কম হতো। কিন্তু হয় নাই। এটা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে কীভাবে আরও ডট বল কম খেলে খেলাটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।’

ভিন্ন আরেক প্রশ্নে তানজিদ যোগ করেন, ‘হয়তবা আমাদের জন্য একটা খারাপ সময় যাচ্ছে। আমরা ব্যাটাররা ধারাবাহিকভাবে ক্লিক করতে পারছি না। আমাদের খুঁজে বের করতে হবে আমরা কীভাবে ধারাবাহিক হতে পারি এবং মিডল ওভারগুলোতে কীভাবে আরও ডট বলের সংখ্যা কমিয়ে আরও স্ট্রাইক রোটেট করে খেলাটাকে বড় করতে পারি। আমাদের সবাইকে বসে এটা খুঁজে বের করতে হবে।’

সবশেষ কয়েক বছর ধরেই নিয়মিতভাবে ভালো করছেন বাংলাদেশের বোলাররা। প্রতিপক্ষকে অল্পতে আটকে দিলেও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশকে হারতে হচ্ছে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে হারায় বোলারদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন অধিনায়ক লিটন। তানজিদও মনে করেন, বোলাররা যেভাবে দলকে লিড করছেন ব্যাটারদেরও উচিত আরও ভালো করা।

তানজিদ বলেন, ‘আমাদের যে বোলিং ডিপার্টমেন্ট আছে সেটা বিশ্বমানের। আপনি যে উইকেটে দেখুন না কেন তারা কিন্তু কমের মধ্যে বিপক্ষে দলকে আটকে দিচ্ছে। এখন সব দায়িত্ব আমাদের ব্যাটারদের। তারা যেভাবে দলকে লিড করছে, তারা যেভাবে দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে—আমাদের ব্যাটারদের সবারই সমান দায়িত্ব আছে কীভাবে ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা আরও ভালো করতে পারি।’

আরো পড়ুন: তানজিদ হাসান তামিম