বাংলাদেশের একজন মেইন ব্যাটার থাকলে আমরা চাপে থাকতাম: পাওয়েল

বাংলাদেশ
বাংলাদেশের একজন মেইন ব্যাটার থাকলে আমরা চাপে থাকতাম: পাওয়েল
রভম্যান পাওয়েল, বিসিবি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
টপ অর্ডারের সঙ্গে ব্যর্থ বাংলাদেশের মিডল অর্ডারও। ৭৭ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ব্যাট হাতে ঝড় তোলার চেষ্টা করেন তানজিম হাসান সাকিব ও নাসুম আহমেদ। দুজনে মিলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মনে ভয়ও ধরিয়ে দিয়েছিলেন। যদিও তানজিম ও নাসুমের ২৩ বলে ৪০ রানের জুটিতে আশা জাগলেও বাংলাদেশকে হারতে হয়েছে ১৬ রানে। ম্যাচ শেষে রভম্যান পাওয়েল জানালেন, বাংলাদেশের এখন মেইন ব্যাটার লম্বা সময় ব্যাটিং করতে পারলেই চাপে থাকতেন তারা।

চট্টগ্রামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিততে হলে ১৬৬ রান করতে হতো বাংলাদেশকে। লক্ষ্য তাড়ায় আকিল হোসেনের প্রথম ওভারেই চার-ছক্কা মেরে ভালো শুরু এনে দেন তানজিদ হাসান তামিম। পরের ওভারে জেইডেন সিলসের প্রথম বলেও মেরেছেন চার। তবে দ্বিতীয় বলেই মিড অনে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় তাকে। বাঁহাতি ব্যাটার ফেরার পরই ছন্দ পতন হয় স্বাগতিকদের। চোট কাটিয়ে ফিরলেও জ্বলে উঠতে পারেননি লিটন দাস।

আগের ম্যাচেই ওয়ানডেতে হাফ সেঞ্চুরি করা সাইফ হাসানও ফিরেছেন দ্রুতই। পাওয়ার প্লে শেষের আগে আউট হয়েছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারিও। দলের বিপর্যয়ে তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে দেয়ার পরিবর্তনে বাংলাদেশের চাপ বাড়িয়ে ফেরেন নুরুল হাসান সোহানও। সবার আসা-যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত অবশ্য আগলে রেখেছিলেন হৃদয়ও। তিনিও আউট হয়েছেন বাংলাদেশের রান একশ ছোঁয়ার আগেই।

একটা সময় মনে হচ্ছিল একশর আগেই গুটিয়ে যাবে বাংলাদেশ। যদিও সেটা হতে দেননি তানজিম ও নাসুম। দুজনই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের উপর চড়াও হয়েছিলেন। গড়েছিলেন ২৩ বলে ৪০ রানের জুটি। তানজিম ২৭ বলে ৩৩ ও নাসুম আউট হয়েছেন ১৩ বলে ২০ রান করে। শেষের ব্যাটারদের লড়াইয়ের পরও বাংলাদেশ হেরেছে ১৬ রানে। পাওয়েল জানান, নাসুম ও তানজিমের ব্যাটিং তাদের মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল।

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পাওয়েল বলেন, ‘হ্যাঁ (নাসুম ও তানজিম জুটি মনে ভয় ধরিয়েছিল), এটা তো খুবই স্বাভাবিক। এটা থেকেই আপনি বুঝতে পারবেন বাংলাদেশের কোনো মেইন ব্যাটার যদি লম্বা সময় উইকেটে থাকতো তাহলে আমরা চাপে থাকতাম। কারণ শেষের দিকে উইকেট অনেকটা ভেজা ছিল। তবে আমাদের বোলারদেরও কৃতিত্ব দিতে হবে। তারা তাদের পরিকল্পনায় অটল ছিল এবং গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট নিয়েছে।’

দ্বিতীয় ইনিংসের শেষের দিকে শিশির পড়ায় বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন ব্যাটাররা। পাওয়েল মনে করেন, সিরিজ নির্ধারণে এটা প্রভাব রাখতে পারে। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ (সিরিজ নির্ধারণীতে শিশিরের প্রভাব), অবশ্যই। উইকেট থেকে আমরা একটা ধারণা পেয়েছি। মাঠ নিয়েও আমরা একটা ধারণা পেয়েছি। আমরা সত্যিই জানতাম না এতটা শিশির থাকবে। আমার মনে হয় শেষের দুই ম্যাচে আমরা এটা (শিশির) বিবেচনায় রাখব। তবে আজ রাতে অনেক বেশি শিশির ছিল।’

ওয়ানডে সিরিজে মিরপুরের কালো মাটির উইকেট নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। স্পিনারদের বাড়তি সুবিধা থাকায় ব্যাটাররা প্রত্যাশিতভাবে ব্যাটিং করতে পারেননি। এমন কী দ্বিতীয় ম্যাচটা ছাড়া বাকি দুইটা ওয়ানডে হয়েছে একপেশে। যদিও চট্টগ্রামে সেটার চেয়ে ভালো উইকেট পেয়েছে বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যদিও প্রথম টি-টোয়েন্টির উইকেটকে পুরোপুরি ব্যাটিং উইকেট বলছেন না পাওয়েল। তবে মিরপুরের চেয়ে যে এটা ভালো ছিল সেটা স্বীকার করেছেন তিনি।

পাওয়েল বলেন, ‘৫০ ওভারের ক্রিকেটে আমরা যেমন উইকেট দেখেছে সেটার চেয়ে অবশ্যই এটা ভালো উইকেট। তবে এখানেও বোলারদের জন্য খানিকটা সহায়তা ছিল। আপনারা নিশ্চয় দেখেছেন রান উৎসব হবে পুরোপুরি উইকেট ছিল না। বলা যেতে পারে একটা অ্যাভারেজ স্কোর ছিল। তবে এটা ভালো ক্রিকেট উইকেট। আপনি যদি ভালোভাবে ব্যাটিং করতে পারেন তাহলে রান করতে পারবেন। আবার আপনি যদি ঠিকঠাক বোলিং করতে পারেন তাহলে কিছু উইকেটও পাবেন।’

আরো পড়ুন: বাংলাদেশ